বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে গোলাপ ও পতঙ্গের সহজাত সঙ্গমদৃশ্য দেখে অভ্যস্ত  
মূলথেকে ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষগুলো এখনো যারা
লোহার দাঁতে জল কাটছে অবিরাম,
তাদের চোখে কারা মুঠো মুঠো ঘুম ছুঁড়ে দিয়েছে হে সমুদ্র!
কুমারী মৎস্য কন্যার গর্ভজাত নীল ঘুম!
যাতে তারা কোনদিন জানতে না পারে রক্তের বীজ রোপনের কালে
অরণ্য শীর্ষে চকচকে রোদের ছুরি হাতে
কিভাবে নেচে ওঠে শ্বাপদের আততায়ী ডালপালা
আর মৃত্তিকাজঠরের আগুনে পুড়ে যায় যাবতীয় ফসলের অধিকার।
কিন্তু আমি জানি, একদিন তীব্র শীতের ভিতর
এই নিসর্গের বিশুদ্ধ সন্তানেরা অন্ধকারের শরীর ফুঁড়ে
ঠিক বেরিয়ে পড়বে আলোর দস্তানা হাতে
মিশে যাবে সবুজে লালে...স্রোতস্বিনীর কল্লোলে কল্লোলে
খেলবে ফেনায়িত যৌবন। উড়ন্ত গাংচিল।  
তারপর চিরবসন্ত!! পালকে বিচিত্র রঙ মেখে পাখিরা গেয়ে উঠবে
রুপান্তরের গান... স্বপ্ন বপনের সঙ্গীত।
পৃথিবীর তাবৎ গোঙানি ও আর্তনাদের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে  
পুনর্জন্মের গন্ধবহ সন্দেশ।