শুধু রক্তমাংসের নারী চায় না কবি;
কবি চায় গাঢ় কিছু...
জীবনের গূঢ় রহস্যভেদ!
যখন মানুষের ক্ষেত ভরে আছে পঙ্গপালে
তখন বোধের ভিতর যে কথা বলে
অন্য ভাষায় অন্যভাবে অন্যস্বরে
প্রেমহীন চুম্বনের আর্তনাদে যখন
ফেটে যায় রাত্রির গর্ভাশয়!
তখন শুধু রক্তমাংসের শরীর পারে না
কবির নিঃসঙ্গতা ঘুচাতে
কবি চায় এক সাথে
সমগ্র সত্ত্বা রক্তমাংস হৃদয়...
কবি তো জানে, একান্ত কামনার রমণী
শরীর খুলে দিলেই রোদ ওঠে চেতনায়
ফেটে যায় নক্ষত্রবীজ মধ্যনীলিমায়
বুকের উপর লাফিয়ে ওঠে তখন
জ্যোৎস্নার ফেনা...
অন্ধকারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে
এক সাহসী শব্দ সৈনিক-আলোর সহিস!
চুকিয়ে দেয় জীবনের সাথে শিল্পের লেনাদেনা।