ভাষার সঞ্চার থেমে গেলে স্তব্ধ গভীরে একা কাঁদে মানুষ!
দিন ধুয়ে ধুয়ে রাত্রি এনেছি বুকের কাছে;
বেদনা—তার অশ্রুত ধ্বনি!
ভেসে আছে মেঘ কার্ণিসে। আমিও কি জেগে থাকি নি একা ?
মধ্য নিশীথে অরণ্যের চাঁদ লুপ্ত হলে নৈশব্দও কথা বলে
প্রতিটি স্নায়ুকোষ রক্ত কণিকায়...
মিশে থাকে সে—  
অন্ধকারে যার হাত ছুঁয়ে বেঁচে ওঠে জীবনের ভিতরে জীবন;
তার চোখের বিদ্যুচ্চমক, আলুলায়িত কেশ, হাসির দমোক—  
সেই তো চেনা শরীর, ভাঙা কাঁচ
নেড়েচেড়ে দেখলেই ক্ষতবিক্ষত!
তার বেদনার নাম নদী--ইচ্ছামত কেবল ভাঙে গড়ে
আমাকেই, আমাকেই শুধু !  
তবুও কোথাও জ্বেলেছিল আলো, চেয়েছিল মায়া মাধুর্য প্রেম!
যাকে নিয়ে গেছে খেলা ভাঙার ছলে অনিবার্য নিয়তির নীল ঘুম
তার সাথে আজ তবে কোন কথা নয়?
আলোতে অন্ধ প্যাঁচার মতন বসে বসে আসন্ন সন্ধ্যার ঘ্রাণ!  
জানিনা কেন তার উষ্ণ ডানায় ফুটেছিল রক্ত পলাশ?