টের পাওনি কখনই তুমি-
কেমন নিঃশব্দে ভেঙেছ আমার বুকের পাঁজর
প্রবল স্রোতে যেমন ভাঙে নদীর দু-কূল!
তবুও নিঃশেষ হতে হতে দৃঢ় প্রত্যয়ে
শিকড় পেতেছিলাম তোমারই বাঁধানো ভূমিতে;
তোমারই প্রান্ত ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চেয়েছি
অশ্বথের মতো শোভন জীবন পাবার আশায়;


আজ বড় কাতর আমি প্রেমের গাঢ় বেদনায়!
অথচ এই আমি,
তোমার হৃদয়ের খুব গভীর থেকে
এক ফোঁটা প্রেম নিবো বলে,
আগুনের সাথে খেলেছি অবলীলায়!
ফুল না ছিঁড়েই ডানা ভেঙ্গেছি কামুক বসন্তের!
অপেক্ষার শিশিরে পা ডুবিয়ে আঁজলা ভরে
পান করেছি জ্যোৎস্নার জল!
গ্রোগাসে গিলেছি অন্ধকার!
মুছে নিয়েছি গ্রীবার দুঃখ স্বেদ!


তুমি তো চলে গেছো সেই কবে!
এখনো তোমার স্মৃতি ধ্রুপদী অক্ষরের
মতো নড়ে ওঠে আমার করোটির ভিতর;
যখন পাথর সময় খুঁজে নিয়েছে ধ্যানের আদিম জঠর!
তখন হঠাত ভূমিফাটা আর্তনাদে তুমি জেগে
ওঠো আমার অন্তর্গত রক্তের ভিতর!


(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উক্ত কবিতাটি "গল্প-কবিতা ডট কম-প্রশ্ন সংখ্যা, ডিসেম্বর-২০১৭; এ প্রকশিত)