সেই কবে থেকে
হৃদয়ে নিবিড় অসুখ নিয়ে
তুমি এক ‘মা’-
রাজহংসীর পালকে
রঙ বেরঙের স্বপ্ন মেখে
সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি
শিথানে রেখে
ঘুম পাড়িয়ে রেখেছ
ফুলের মতো সন্তানেরে
কোন বিশ্বাসে,কার চরণ তলে?


এই মনুষ্য আকালে
এখন তাদের কোথায় ফেলে যাবে
মানবিক চক্ষু খোলার আগেই
কোন নগরীর তোরণদ্বারে
বসিয়ে দিবে শূন্য হাতে
দিকে দিকে এখন শুধু
হিংসায় ঘৃণায়
রাজ্য জ্বলে, রাজা জ্বলে !
আয়ুর রেখায়
এ কেমন মৃত্যু বেঁধে দিলে??


তাদের কানে কানে দিয়েছ কি বলে?
জল হাওয়ার তোড়ে
অস্তিত্বের বীজ ফেটে গেলে
অন্তিম শ্বাসে জেগে ওঠে জীবন
কোন মন্ত্রবলে,
কোন ধ্বনি উচ্চারণে
কৃষক মাঠে শস্য বোনে,
কোন মোহনায়
ভেসে যায় নাও ভাটিয়ালির টানে,
কোন কাননে
পাখির স্লোগানে রক্ত ঝরে,
কোন সবুজে
মিশে আছে কালো রাত্রির দীর্ঘশ্বাস!


তারা কি জানে,
তোমার জন্মের রক্তাক্ত ইতিহাস?
তোমার প্রলম্বিত করতলে
কতোটা আগুন পুষে রেখেছ,
ক্ষুধায়, তৃষ্ণায় ক্ষরণে ক্ষরণে
ঘাতকের ছায়ায় কিভাবে বেঁচে আছো ?