বিধাতার শান
বোরহানুল ইসলাম লিটন
=================
যে বা বুঝিয়াছে শান
রাত্রি দিবসে সেই তো গেয়েছে
নতশিরে মোর, বিধাতার নামে গান।
একদা দিবসে প্রাণ কেড়ে নিয়ে
যম দূত সবে, পৌঁছেছে আরশ দ্বার,
সকলে বলিল, ওহে মহামতি
আজিকে জীবন করিলে কবজ কার?
হাসিয়া বলিল, এ ছিল বাদশা
পৃথিবীর বুকে, সবচে শক্তিশালী,
রাজ্য দখলে ক্ষমতায় ছিল
বাচ্চা যেমন, দু’হাতে বাজায় তালি।
সকলে বলিল, আচ্ছা বলো তো
ক্ষণে ক্ষণে তুমি, কতো যে কাড়িছো জান,
কখনো কি তুমি দুঃখ পাও নি
কারো জান নিতে, কাঁদেনি তোমার প্রাণ?
ছল ছল চোখে মহতী বলিল
মনে পড়ে আজি, অনেক আগের কথা,
সে ক্ষণের স্মৃতি মনে হলে মোর
অন্ত দহনে, নিভৃতে জাগে ব্যথা।
দুখিনী জননী শত ব্যথা সয়ে
সদ্য তনয়, জন্ম দিয়েছে সবে,
হুকুম আসিলো মাতৃ কাড়িতে
দুগ্ধ শিশুটি, পড়িয়া থাকিবে ভবে।
অন্তর মন কাঁদিলো সে ক্ষণ
তবুও কাড়িয়া, অবলা মায়ের প্রাণ,
নতশিরে কেঁদে যতনে রেখেছি
হুকুম পালনে, মোর বিধাতার মান।
সকলে বলিল, জানিবে না তুমি
কিভাবে কাটিলো, অবুঝ শিশুর দিন?
যার মাতা কেড়ে অন্ত ক্ষরণে
আজো দিবা নিশি, বহিয়া চলেছো ঋণ?
নিশ্চয় বলো, যতনে শুনিবো
হোক না কষ্ট, কোথা সে শিশুর প্রাণ?
সকলে বলিল, তোমরি হস্তে
আজিকে যাহার, কাড়িয়া এনেছো জান!
দু’হাত তুলে বিধাতার তরে
কাঁদিয়া বলিল, মহতী আকুল মন,
তুমি দয়াময় তুমি অনন্ত
ক্ষমা করো মোরে, জ্ঞান দিয়ে প্রতিক্ষণ।।
(অনেক দিন আগে ধর্মীয় একটি গল্প পড়েছিলাম।
কোথায় পড়েছি তাও ঠিক মনে পড়ে না। যেটুকু রেশ
অন্তরে ছিল তারই আলোকে এই কবিতাটি লেখা।
মহান আল্লাহ পাকের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি,
ভুল ত্রুটি তিনি যেন ক্ষমা করে দেন।)
===================
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
১৯/০৬/২০২০ইং।