এক পৃথিবীর ধারে
============================@@@


কেন এ’ আবহ এক পৃথিবীর ধারে
অশ্বত্থ সাঁঝের কাছে করেছে কি খুব বেশি দেনা!
সেই যে শিয়রে তার সুহাসিনী চান
আজকে বদন দেখি স্বভাবে যা ভীষণই অচেনা।


বেঁধেও ষোড়শী মেঘ থোকা থোকা ভেলা
দ্যাখে না ক্ষণিক চেয়ে
হয়তো পায়ই না টের পরালো কে মণিহার গলে,
স্বপ্নিল নক্ষত্র নেমে ভুলে কক্ষপথ
না জেনে সাঁতার খায় হাবুডুবু সিন্ধুর অতলে।


বড়ই ভুতুড়ে যতো ডাহুকের সুর,
নিশ্চয় ক্রন্দন নয় তবু বুঝি বেশ
অদ্যই পঙ্কিলে ওরা হারিয়েছে রূপালী ঘুঙুর।


ঘুঘুর লোচন যদি নিদ্রাশায় ভারি,
কি জানি কি ভেবে গুণে ঝিঁঝিঁদের তালে
নীড়েই জাগায়ে মাথা র’লো ক’টা এ’ রাতে সুপারি।


যায়-ই/যাবেই পৃথিবী ক্ষয়ে পৃথিবীর দেহে
নিভৃতে শুকাও এলে ‘হে তিমির’ ছেঁড়া ফাটা জল,
নিঠুরে কেড়ো না শুধু নিশুতির দোরে
সযত্নে সাজানো তার আশাধারী শ্যামা যে আঁচল!


============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০২/১০/২০২৩ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন