গেছিলাম সেথা!
পেলাম না কিছু রূপে কাউকেই,
আছে যদি ঘাস -
গাত্র দেখে মনে হয় বুঝি ওরা ক্ষোভে
শরতে হিমের ঝরা বুক থেকে বাঞ্ছা হারা শ্বাস।
কলমির স্নিগ্ধ রোদ কাদা খেকো বায়ু
হয়তো বিদায় বেলা দিয়ে গেছে বকুলেরে শোক,
নেই বেঁচে-
বেঁচে নেই রাগিণীর যাচিত সে' আড়ে
মেঘের অলক।
হেঁটে গেলো বেলা,
বাঁশরির অবহেলা বুকে লয়ে দিগন্তের পথে -
কখনো কি ফিরবে অশ্বথে?
শস্যের পাঁজরে রয়ে ক্ষণকাল খুব একা বসে
না পেয়ে সে' ফড়িঙের ঝাঁক,
বলে মন - গোধূলির পাখি ও আঁখির
মাঝে আজ যোজন ফারাক।
কলমির স্নিগ্ধ রোদ কাদা খেকো বায়ু
হয়তো বিদায় বেলা দিয়ে গেছে বকুলেরে শোক,
নেই বেঁচে-
বেঁচে নেই রাগিণীর যাচিত সে' আড়ে
মেঘের অলক।---- এ অংশটা আরো বেশী মুগ্ধকর।
প্রকৃতির স্তব্ধ সুর— কাদামাখা রোদ, বিলীন বকুলের শোক— স্মৃতিরা হয়ে ওঠে নিঃসঙ্গ প্রতিচ্ছায়া।
ফিরে আসে না বাঁশরির স্বর; অশ্বথের নীরবতা যেন প্রলম্বিত প্রতীক্ষার নীলাভ দীর্ঘশ্বাস।
মনোজগতের প্রান্তসীমায় গোধূলির পাখিরাও আজ হয়ে গেছে অপরিচিত, দূরত্বের অচিন গীতিকাব্য।
অসাধারণ এক প্রকৃতি নির্ভর প্রেম, নিরাসা ও অস্তিত্ববাদী ভাবনার কাব্য লিখেছেন সম্মানীয় গুণী কবি! মুগ্ধ হলাম পড়ে।
শুভকামনা নিরন্তর, ভালো থাকবেন প্রিয় গুণীজন।
এ কামনাই করছি।
খুব ভালো থাকার প্রত্যাশা করছি।
এ সময়ের সমাজ-প্রকৃতিতে অবক্ষয় ও বিপর্যয় এবং অনন্য উপমা রূপকে অতৃপ্ত মনের অনুভূতির অসাধারণ কবিতা। মুগ্ধ পাঠ, "কলমির স্নিগ্ধ রোদ কাদা খেকো বায়ু/হয়তো বিদায় বেলা দিয়ে গেছে বকুলেরে শোক,/নেই বেঁচে-/বেঁচে নেই রাগিণীর যাচিত সে' আড়ে/মেঘের অলক।"
অনেক শুভেচ্ছা, প্রিয় কবি।