যখন - তখন
===========================@@@


যখন আবেশে জাগে যমুনার পালা
সহসা তাগড়া স্রোত হাতে লয় ঊর্মিল বেহালা।
কিঞ্চিত পেলে এ ছোঁয়া সমীরের ভাল?
শ্যামলা দামাল ক্ষেত হয়ে উঠে ষোড়শী কাঁকাল।
লালচে ফড়িংও প্রেমে ডাকলে ’হে চাষী!’
সুদূরে থাকতে পারে প্রস্ফুটিত শাপলার হাসি!
তখন ---
থাকতে পারি না নব বাসনার মাঝে
রুখতে পারি না চেয়ে নাঙা সেই ব্যগ্রতার ছড়,
দাঁড়াতে পারি না চেয়ে স্বভাবের মাঝে
খুঁজতে পারি না চেয়ে নিজেকে এ বুকের ভিতর।


যখন পায় না সূর পাকুড়ের প্রীতি,
বিক্ষিপ্ত মেঘের খাঁজে থেমে যায় গোধূলির গীতি।
কোথা এ বাঁশের বাঁশি? কেনো হেন গান?
অকালে ভেঙে কে হলো চির সুখী গোঠের বিতান?
বিক্ষত ভাবনা পেলে কালশিটে কাঁদ,
লাভ কি মাথার উঁচে রলে প্রিয় পঞ্চমীর চাঁদ!
তখন ---
থাকতে পারি না নব বাসনার মাঝে
রুখতে পারি না চেয়ে নাঙা সেই ব্যগ্রতার ছড়,
দাঁড়াতে পারি না চেয়ে স্বভাবের মাঝে
খুঁজতে পারি না চেয়ে নিজেকে এ বুকের ভিতর।


যখন দু’কানে আসে পর পর ভেসে সাইরেন,
বুঝি সে স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছে নিশুতির ট্রেন।
কে আসবে?) কেনোই বা জেগে উঠে মমতার ঢেউ?
তবে কি অদূরে ওই কৃষ্ণচূড়া পেঁচকীর কেউ?
সিমেন্ট পাথরে গাঁথা চেনা এক জলজ্যান্ত সিঁড়ি,
মৃত্তিকা বদনে মেখে সেজে হয় বাংলার পিঁড়ি।
তখন ---
থাকতে পারি না নব বাসনার মাঝে
রুখতে পারি না চেয়ে নাঙা সেই ব্যগ্রতার ছড়,
দাঁড়াতে পারি না চেয়ে স্বভাবের মাঝে
খুঁজতে পারি না চেয়ে নিজেকে এ বুকের ভিতর।


===========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
03/04/2024ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন