নির্মোহে মোহ
============================@@@


বিনীত অধরে রেখে শালিকের গান
কখনো প্রণয়ে মেখে বৃষ্টিস্নাত কদম্বের হাসি,
সহস্র বছর এই বাংলার বাটে
ব্যাকুলে ঘুরেছি আমি তারে লয়ে হেঁটে পাশাপাশি।


শাঁসালো দাহের ধারে সে যে ছিলো মৃদু সমীরণ
যেমন দূর্বার শির হাসি খুশি শিশিরের চুমে,
কেন আজ মনে হয়? হয়তো বা একা
ছিলাম অনন্তকাল লাশ ঘরে মিশে কারো ঘুমে।


আমার আমার বলে বেঁধেও রা লহরিতে সুর,
সত্যটাও জানলে না হে ধরণী তুমি
কেনেই সমূদ্র হয় নীরদেরই বেদনে বিধুর।


ছুঁতে আমি পারিনিকো তারে
চাইলেও ঋক্ষ সম তারে নাকি যায় নাকো ছোঁয়া,
বলিনি ছিলো সে চির চকোরীর তৃষা
যদিও নয়কো কোন স্বপ্নে দেখা অপ্সরার ধোঁয়া।


যতোই চলেছে স্রোত ভুলে তবু কার্তিকের দ্বার,
ততোই চলেছে শীষ পিছে রোপে বাসনা অপার!


নির্মোহ> মোহ হীন।
শীষ> ধান্যাদীর শীর্ষ।


নোটঃ মোহ প্রতিটি অন্তরেই বিরাজিত। অনন্ত কালের
পথে পা বাড়িয়েও কেউ ছাড়তে চায় না ধরণীকে।
তবুও ধর্মীয় কারণেই বলবো-
সম্মুখে বা নিভৃতে চলে মোহ নিবারনের আপ্রাণ চেষ্টা।
এই চেষ্টাটাও এক প্রকার মোহ - ‘নির্মোহে মোহ’!


*উৎসর্গঃ সম্মানিত কবি ‘দিলীপ চট্টপাধ্যায়’ এর প্রতি।*
============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
২০/০২/২০২৪ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন