পল্লীমাতার হেমন্ত
========================@@@


আমার গাঁয়ের বাটে সোঁদা গন্ধ ঘুর ঘুর করে,
বেড়ে গেছে ইঁদুরের জ্বালাতন সদ্য লেপা ঘরে।
বাড়বেই না বা কেন
হাঁটু জলে মেতে উঠা শোল আর ফড়িঙের গান,
সুরেই নিয়েছে বাগে হেলিয়ে যে আধা পাকা ধান।
ব্যাকুল দৃষ্টিতে এঁকে ডালে বসা পাখি,
শাপলা-শালুক ডলে অবেলায় বিদায়ের আঁখি।
লাজুক সুরুজ জেগে না ফেলতে চুম্বনের শ্বাস,
প্রভাতি শিশির দানে প্রকৃতিরে স্নিগ্ধ অন্তর্বাস।


হেমন্তের এই রূপে সারাদিন ক্ষেতে হাসে বায়ু,
বর্ণিল মেঘেরা রচে বিটপীর নব পরমায়ু।
কচুরি-কলমি তলে টলটলে কাজলার পানি,
বকের অক্ষিতে চষে হংসের মৃদু কানাকানি।
স্যাঁতস্যাঁতে জমি থেকে দূর্বাঘাস উচ্চ করে শির,
শুকনো শ্যাওলা দিয়ে সেও লেখে গো-ছাগের তকদির।
শুধু পল্লীমাতা কেড়ে আলস্যের ঘোর,
সুফলা হাসির ধারে যাচে বলে সোনালী আদর।


========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
২৩/১০/২০২২ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন