পেটুক জামাই (ব্যঙ্গ)
বোরহানুল ইসলাম লিটন


পেটুক জামাই দারুণ সাজে
যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি,
তাইতো হাতে শোভা পাচ্ছে
রসগোল্লা র হাড়ি।
মা ডেকে কয় তোকে তো বাপ
যায় না একা ছাড়া,
সবাই বলে তোর মাথার নাকি
সবকটা তার ছেঁড়া।
সবাইকে সম্মান করিস
নয় কেহ তোর পর,
তবেই সকলে করবে তোকে
আদর সমাদর।
ঠিক আছে মা খোদা হাফেজ
দেখা হবে আবার,
মাঝ রাস্তায় গিয়ে হাড়ির
অর্ধেক টা করলো কাবার।
শ্বশুরবাড়ি গিয়েই শ্বাশুড়িকে
করলো কদমবুচি,
একগাল হেসে বলে
আম্মা জান আব্বার খবর কি?
তোমার আব্বা গেছে তো বাবা
আহসানগঞ্জের হাটে,
সৌভাগ্যের কপাল এমন জামাই
কয় জনার ভাগ্যে জোটে।
হাত মুখ ধুয়ে এসো বাবা
বসবে ঘরে গিয়ে,
মেয়েটাকে তো আনতে পারতে
সঙ্গে করে নিয়ে।
ঘরে ঢুকে দেখে খাবার
সাজানো থরে থরে,
ভাবে সব খাবার একাই খাব
শুধু না যদি যাই মরে।
এমন খাবার পাবো না আমি
সারা জনম ভর,
চিন্তা ভাবনার সময় নাই মোর
সইছে না যে তর।
খাবার বসে পাতে দিল
পাটের শাক ভাজা,
মনে মনে জামাই বলে
দেখাচ্ছি খাওয়ার মজা।
তাড়াতাড়ি খেয়ে জামাই
পড়লো এক বিপাকে,
শ্বাশুড়ি ভাবে না জানি স্বাদ
পেয়েছে জামাই শাকে।
দিচ্ছে তুলে খাচ্ছে জামাই
দিচ্ছে বারে বার,
আবার তুলে দিতেই বলে
কি আছে দরকার?
বলুন পাট ক্ষেত টা কোন দিক
আর কিভাবে হয়ে যেতে,
ওখানে বসেই খেয়ে নিব
যা ধরে মোর পেটে।
শ্বাশুড়ি হেসে বলে তুমি
পাট ক্ষেত কোথায় পেলে ?
শুধু তোমার জন্য শাক এনেছে
আমার ছোট ছেলে।


প্রকাশকাল
১৯/১২/২০১৯ইং।