রূপক ও রূপক কবিতা (সংক্ষেপে)
=====================


পরম করুণায় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করলামঃ


যার সাথে কোন কিছুর তুলনা করা হয় তাকে উপমান বলে
আর, তুলনার যোগ্য বস্তুটি উপমেয়।
পদ্মলোচন -এ
পদ্ম উপমান ও লোচন (চোখ) উপমেয়।


উপমেয়কে উপমানের সাথে অভিন্ন কল্পনা-ই রূপক।
যেমন- ফুলকুমারী-তে ফুল ও কুমারী অভেদ।


প্রশ্ন জাগে -
তাহলে রূপক কবিতা কি?
গুঢ় তাৎপর্য প্রকাশ করার নিমিত্তে বাহ্যিক খোলসের অন্তরালে
আশ্রয় করা হয় যে কাব্যিকতাকে
সেটাই রূপক কবিতা।
জানা যায়- সম্মানিত কবি হোসনে আরা এক শ্রেণীর শোষককে
উপজীব্য করে ‘সফদার ডাক্তার’ লিখেছিলেন।


শব্দ ও ছন্দ দ্বন্দ্বহীন হলেও -
খুব সহজে নিশ্চিত হওয়া যায় না রূপক কবিতার বিষয়বস্তু সম্পর্কে।
এজন্যই বলি -
সদ্য দ্বাদশে পড়ুয়া কোন বন্ধু কলেজেরই অষ্টাদশী কোন সুন্দরীর
অপলক দৃষ্টিতে আস্থা রেখে অনেকদিন সাজ-পোষাক পরিপাটি
রেখেও হতে পারে আশায়-ভাষায় সংকুচিত,
যদি সামনে আসে অবশেষে মেয়েটি ট্যারা চোখের অধিকারিনী।
অর্থাৎ কখনোই তাকায়নি বন্ধুর পানে।
মেয়েটির দৃষ্টিই এখানে রূপক কবিতার বিষয়বস্তু।


পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানেই ইতি টানছি।
সুস্থ থাকুন খুব ভালো থাকুন।