সবচে’ নিকটতম দরদী!
===========================@@@

ছোট বেলায় জামা প্যান্ট চেয়ে ঈদের আগে না পেলে
ভীষণ রাগ করতাম বাবার উপর,
ভাবতাম পকেটে অগণিত টাকা রেখেও বুঝি দিলো না।
পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলে
রকমারি দাবির অন্ত থাকতো না,
শুনতে শুনতেই হাঁপিয়ে উঠতেন তিনি।

তারচে’ বেশী জ্বালাতন করতাম মাকে -
”আর ক’টা দিন বাদেই জাম গ্রামের মেলা
এবার কিন্তু তুই আঠারো টাকা দিবি আমাকে।
ইসলামগাঁথী মহররমের মেলার দিন
পিপলু শিপলুকে টাকা দিয়ে আমাকে যে বলবি
’সেদিনই তো দিলাম’ তা কিন্তু চলবে না!”
এহেন কথা বলতে বলতেও চুপ করে টাকা নিতাম
আঁচলের গিট্টু খুলে।

আজ বাবা নেই মা আছে, তবে সে অনেক বৃদ্ধা!
আমারও বয়স হয়েছে যথেষ্ট,
তবুও দু’জনেরই উপর করি অভিমান খুউব!
আর সর্বাধিক অভিমান করি আমার বিধাতাকে ডেকে
কারণ, আমি জেনে গেছি -
’ক্ষরণ আর মরণের পাশে তিনিই সবচে’ নিকটতম দরদী!’

===========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০৪/০৮/২০২২ইং।




@বোরহানুল ইসলাম লিটন