তবুও শুনতে পাই মরালীর গান
===========================@@@


বনানী মিলিয়ে যায় দিগন্তের পাড়ে
দস্যুরূপী অন্ধকার বাঁধলেই ফসলের আঁখি,
বায়ুর স্বভাব দেখে হয়তো বা দূরে
আতঙ্কে সদলে উঠে পাশাপাশি শিয়ালেরা হাঁকি।


না পেয়ে পুষির মতি মুষিকের সাড়া
কি জানি রোদন তার পৌঁছে কি না আকাশের কানে,
অন্ধত্বে নক্ষত্র রাজি কলু শা’র ষাঁড়
কিঞ্চিত হয় না লাভ তাকালেও বামে হেরে ডানে।


অজানাই থেকে যায়, নীরদের দল
তালাশে বেড়ায় যদি কারো কাঁকে স্ফীত পারাবার,
অথচ সরস ছিলো নিশুতিরও রূপ
ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্রিমা শেষে ঘুমালেও ভুলে আবদার।


ঘুমন্ত টিনের চালে হুতোমের জোড়া
নীরবে র’লেও জেগে আজ নয় প্রণয়ীর পীড়ে,
ভীষণ অচেনা লাগে আমারই এ’ পৃথ্বী
এখানে শুধুই রাত আসে না সে’ দিনমণি ফিরে।


বুঝেই পরখ করে আঁধারের বুকে লোনাজল,
যে যায় হারিয়ে যায় চিরতরে বিহগীর দল।
গর্জে পাকুড়ের শিরে দৈত্যকার ভূষার কামান,
তবুও শুনতে পাই আমি এক মরালীর গান!


===========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
২১/১১/২০২৩ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন