টুকরো কথা -২
====================@@@


(১) জীবন্ত এক স্বপ্নপূরী


একই বৃন্তে ফুটে দু’টি ফুল
কতোই না খুশিতে চাঁদনী নিশীথে জেগে
নেচে নেচে গায় প্রণয়ের গীত!
তারপর কেউ না কেউ
ঠিকই ঝরে পড়ে একদিন।
তা’ বলে কি অন্যের জীবন থেমে যায়?
কক্ষনো না!
শুধু থেমে যায় খলবলে জোছনার ধারা -
যার নীচে জেগে থাকতো
নিষ্পাপ দু’টি প্রাণের অন্তহীন আশায় আঁকা
’জীবন্ত এক স্বপ্নপূরী!’


(২) বিশ্বাসহীন ভালোবাসা


বিশ্বাসহীন ভালোবাসা
অনেকটাই ভাগাড়ের তুল্য -
যেখানে স্বাচ্ছন্দে মৃত পশুর
আশা করা যেতে পারে!


জীবিত কোন কিছুর আশা করা
নেহায়েতই অন্যায় -
শকুন কুকুর বিনে!


(৩) প্রজাপতির ছোট্ট ছানা


কখনও কোন কারণে
এ’ আঁখি দু’টি যদি হতো দুরন্ত ঝর্ণা ধারা -
আমি সইতে পারতাম!
সইতে পারতাম -
বিক্ষিপ্ত কষ্টের অনলে পিঞ্জিরাটা হলে
বহ্নিমান চিতা!
ক্ষরণ তলে যদি অব্যক্ত কথারা হতো
ভূতুড়ে গিরির মতো অটল -
সহজেই সইতে পারতাম!
কারণ প্রজাপতির ছোট্ট এক ছানা
ছিলো এ’ অন্তরে!


আজ অনেক আশা এ’ অন্তরেই
খেলা করে দিবা-নিশি
অথচ আমি কতোই নিষ্প্রাণ -
শুধু এদের মাঝে খুঁজে পাই না বলে
ফুটফুটে সেই ‘প্রজাপতির ছোট্ট ছানা!’


(৪) ভালোবাসা ও নষ্টামি


ভীষণ দুখের ঘোরে
স্মৃতির পটে ভেসে উঠা ছবি দেখে
সহজেই অনুমান করতে পারবেন
কাকে আপনি মন প্রাণ সঁপে
ভালোবেসেছিলেন!


তবে পরশি কোন ভাবির কথা জাগলে
নিশ্চয় তা ‘নষ্টামি!’


(৫) অথচ বুঝোনি


তীব্র শীত
সর্বগ্রাসী বর্ষা
প্রখর খরা
সয়েই আমি লকলকে ঘাস হয়ে
খুশিতে দুলতাম বাতাসে -
তুমি প্রজাপতি হতে বলে!
অথচ বুঝোনি ঘাসের মূল্য!


’বুঝতে চাওনি হেরে গেলে কভু
ভাটা জোয়ারের সাড়া,
বিশ্বাস খোয়ে তটিনীর বুক
চিরতরে যায় মারা!’


====================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
৩০/০১/২০২৩ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন