টুকরো কথা -৮
=====================@@@


(১) বলে যাবো তবু!


কষ্টের ঘাতে ছেঁড়া এ’ হৃদয়ে
যতোই জমুক শোক,
বলে যাবো তবু তুমিই বিধাতা
উত্তম বিচারক!


(২) জীবনের ঘুম


বুক ভরা খলবলে বাঞ্ছা নিয়ে
আগে প্রকৃতির পাশে ঘুমাতাম।
পাখালির কলতান
মাঠের সবুজ দোল
চঞ্চলা নদীর কুলু কুলু ধ্বনি
জেগেই থাকতো এ’ অন্তরে।
নিস্তব্ধ রজনীতেও জোছনার ফুল দিয়ে
গড়তাম স্বপ্নিল কণ্ঠহার।
এভাবে তিনটি বছর মাত্র তিন প্রহরের
সমান হয়ে ছেড়ে গিয়েছিলো আমাকে।
শুধু - - - - - -- - !


সময় আর ফাঁকি দিতে পারে না,
পারে না সংকীর্ণতার দোরে
চাইলেও আমাকে রাখতে আবদ্ধ!
বরং সেচ্ছায় দেয় প্রতিটি প্রহর উপযাচক হয়ে
কমপক্ষে একশ’ বছরের ব্যাপ্তি
তবে -
স্বপ্নহীন
ঘোর ঘোর
ভীষণ কষ্টময়
’ঘুমাতে হয় বলে একান্তই আজ
নিজেরই পাশে নিজেকে!’


(৩) তুমির ভূমি


পৃথিবীটা হলে স্বপ্নের মতো
তার চেয়ে বেশী তুমি,
আপনাকে কভু যায় কি গো ভাবা
ভিপি তালিকার ভূমি!


(৪) শার্সি ভাঙা বাতায়ন


একটা ঘর গড়েছিলাম
ছোট্ট মাটির ঘর
নিচ্ছিদ্র!
বিশ্বাস ছিলো
চাঁদনী নিশীথে ঢুকবেই জোছনার ধারা,
পুষ্পিত বাগ থেকে
সতেজ ঘ্রাণ এনে ছড়াবে দখিনা সমীর,
ভূতুড়ে আবহ রুখতে
জেগে রবে সদা জোড়া ডাহুকের গান,
তুমি আর আমি
শুধু তুমি আর আমি থাকবো অন্তঃপুরে
অপলক নেত্রে
অনন্তকাল নির্ঘুম পাশাপাশি।


অথচ ভয় পেয়েছিলে তুমি
ভিতরটা না দেখেই!
জানালে না তা কি কারণে!
তবুও দুঃখ পেতাম না
যদি -
ব্যাপারটা ‍বোঝার আগেই
আমার অজ্ঞাতসারে ও’ ঘরে না লাগাতে
বিশ্বাসহীনে এক ‘শার্সি ভাঙা বাতায়ন!’


=====================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
১২/০২/২০২৩ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন