তুমি তো এলে না আর ফিরে!
============================@@@


তুমি তো এলে না আর ফিরে অবশেষে
দিয়েও নিখাদ কথা দেখলে না শিশিরের কণা,
তোমায় রাঙাবো বলে নিশুতিতে রয়ে
কবিতা লিখেছি ক’টা শুনবে কে বলো সুনয়না!


ষোড়শী আমন ক্ষেতে আষাঢ়ের ঢেউ
তুলেছি কাব্যের গায়ে
বাড়ায় যদিও ওরা এ’ হৃদয়ে ব্যথা অবিরত,
মেলেছি দখিনা বায়ে কলমির ফুল
ভীষণ হাসতে তুমি অনেকটা ওদেরই যে মতো!


যতনে সাজাতে জোড়া হংসের ভান
জেগেছে হিঙ্গুল মেঘ স্বভাবে যা পিঞ্জিরার পাখি,
অবেলা বাদল স্নাত শাপলার কথা
তবুও দিয়েছি গেঁথে
চাইলে মিলতো বলে ও’ বদনে তোমারি দু’ আঁখি!


হলুদ দূর্বার শিরে ফড়িঙের ক্ষোভ
কতোটা বিরহ ছিলো এখনো এ’ পটে আঁকে রেখা,
ভুলিনি লিখতে চোখা নকুলের মতি
দিতো যে ঢিবির আড়ে মাথা তুলে বারে বারে দেখা!


সুরুজ নামায়ে পাটে
বেঁধেছি শ্যামল বাটে
শুকনো পাতার ধারে দোয়েলের ক্ষীণ আনাগোনা,
তুমি তো এলে না আর ফিরে অবশেষে
সানন্দে কবিতা ক’টা শুনবে কে বলো সুনয়না!


============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০৫/০৯/২০২৩ইং।



@বোরহানুল ইসলাম লিটন