বাঙালী মানেই বছর জুড়ে নানান উৎসব-
আজ এটা কাল ওটা
আনন্দে জমে থাকে প্রতি বাঙালীর অন্তরাকাশ। পুজোর ধুম ছোটে বছর ঘুরে আশ্বিন এলে,
কর্ম ব্যস্ততায় কেটে যাওয়া দিনগুলো থেকে
মিলবে ক্ষণিকের টুকরো ছুটি,
ভূলোকের ঈশ্বরের দর্শন হবে বহুদিন পর-
জন্মদাতা জন্মদাত্রী চর্মচক্ষুর অগোচরে বহুকাল। আকুল হৃদয় থাকে উৎসুক-
এতকাল পরে শারদলক্ষ্মী মায়ের আগমনে
ছুঁয়ে যাবে হর্ষ রূপকাঠি কপলে,
মায়ের কল্যাণী হাত আশীর্বাদপুষ্ট করবে আমায় আবার।
মহালয়ার শাঁখ কর্ণে লাগে বড় সুখকর-
কারো কারো মনে পড়ে,
ছোটবেলায় দেখা মা ত্রিনয়নার স্মিত মুখমণ্ডল। স্মৃতির পাতায় আজও অম্লান সেই সোনালী আখর- পুজোর আকাশ,
পুজোর ছুটি,
পুজোর ঢাক,
পুজোর শাঁখ,
মাতিয়ে রাখে এ’পাড়া ও’পাড়া।
নতুন কাপড়, নতুন জুতো
বোস বাড়ীর ছোট্ট খোকা সাজে ফুলবাবু,
কাকুর কাঁধে চড়ে দেখে লাটুপাড়ার মেলা।
চিরায়ত দৃশ্যাবলী থাকে অটুট,
এ’ শুধু শৈশব, কৈশোর ছেড়ে যৌবনে পা ফেলা
বদলে যাওয়া গতির মাঝে
আজও ফোটে কাশ, শুভ্র নদীর পারে-
ঢেউ খেলে আপন মনে,
দোলায় তারে হাওয়া।
দু চোখে ভরে দেখি
মাঝে মাঝে তুলে নেই দুটো কাশ
বয়স ভুলে ছুটি নদীর ধার বেয়ে।
ধূপ-ধুনো আর শিউলির গন্ধে,
স্নিগ্ধ চিত্ত হৃদয় হয়
পুলকে পুলকে প্রস্ফুতিত।
হৃদয়ে বাজে আনন্দধ্বনি,
উচ্ছাসে উল্লাসে।