হটাত ঘড়ির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল রেনুর,
তখন অনেক রাত।
চারিদিক নিস্তব্ধ, মৃদু আলোকময় রাত,
চোখের পাতা এক করার চেষ্টা করলো বহুক্ষণ,
কিন্তু, পারলনা কিছুতেই।
বিছানার পাশেই রেনু আর কল্লোলের প্রিয় জানালা-
দখিণা জানালা.........
তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দের সাথী, অনেক বেদনার সাক্ষী।
উদাস মনে আকাশ পানে চেয়ে আছে সে;
বুকের ব্যথার নীল দাগ আরও গাড় হয়ে কালচে হয়ে উঠেছে আজ,
রেনু নিজেকে শান্ত করার আকুল প্রচেষ্টায়,
এমন মুহূর্তে হটাত বেজে উঠলো কল্লোলের ফোন
সচকিত রেনু !! ফোনের দিকে নিথর চোখে তাকিয়ে থাকে,
ফোন বেজে যায়...
এবার ফোনটা হাতে তুলে নিল
বাজছে ...... রিমাইন্ডার... রেনু’স বার্থডে...
যে ব্যথা এত সময় রেণুকে দৌড়ে ফিরছিল,
তা প্রবল যন্ত্রণায় নিথর রেণুকে আষ্টে পিষ্টে বেঁধে গোগ্রাসে গিলতে লাগলো;
হাহাকার তার বুক, মুখ , শরীরের প্রতিটি রোমকূপ ঠিকরে বেরিয়ে এসে দুবিয়ে দিল নিল-বেদনার অতল সাগরে।
আজ পাশে নেই কল্লোল,
আর কখনো ফিরবেনা কল্লোল,
বলবে না ‘ শুভ জন্মদিন রেণু’