নীরবে শায়িত হয়ে আছে জীবনানন্দ
নিশ্চিন্তে নিদ্রায় বিধুর-
শান্ত, স্নিগ্ধ, সুশীতল কোন এক বৃক্ষ তলে।
নেই কবিতার কোলাহল,
শব্দের স্ফুরণ,
কোথায় বাক্যের কথাকলি?
আজ এলাম তোমার কাছে;
আমি কনিষ্ঠা-
আছে কিছু প্রশ্ন,
আমি সদুত্তরের আশায়।
সেদিন বালিগঞ্জে? ট্রাম লাইনের পাশে?
আনমনা ছিলে কি তুমি?
ট্রামের ক্যাঁচারে আঁটকে পৃষ্ঠে গেলে অকালেই-
কণ্ঠা ঊরু পাঁজরের হাড় গুড়িয়ে গেল নিমিষেই।
চুনীলাল, তোমার আর্তনাদে ছুটে এলো!
অতঃপর-
শম্ভুলাল পণ্ডিত হাসপাতাল।
ডাঃ ভূমেন্দ্র গুহ ভার নিল সুচিকিৎসার-
মনে পড়ে?
তোমায় দেখতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও
নির্দেশ ছিল তার উন্নত স্বাস্থ্য সেবার;
তবুও কিছুতেই কিছু হল না আর।
সব হয়ে গেল জটিল থেকে জটিলতর,
তোমার আহত নির্বল শরীর
নিষ্প্রভ জীবনভাতি ঢেকে গেল নিউমোনিয়ার আড়ালে।
শত প্রচেষ্টা বিফল
অবশেষে ২২ শে অক্টোবর!
চোখ বুজলে চিরতরে সেই রাতে।
ওরা বলে আত্মহত্যার স্পৃহা ছিল তোমার-
জীবনের সমুদ্র সফেনে কখনো আসেনি কি ‘বনলতা’?
জীবনানন্দ বল?
কেন ছিল তোমার বুকে দানা বেঁধে মরণ তিয়াস?