ওদের দেখছ?
ওই যে, বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে একদল কুকুর,
এই? কোথায় যাচ্ছ?
ভুলেও ঘর থেকে বের হবেনা কিন্তু!
জানালা দিয়েই দেখতে পাবে সব।
ওমা! ভয় পাচ্ছ?
এতো সবে শুরু,
একে একে ওরা সবাই মোটরসাইকেল পোড়াবে,
ভাঙবে গাড়ী, বাস
এরপর-
দলে দলে চলন্ত ট্রেন আগুন দেবে।
হ্যাঁ হ্যাঁ, এরাই প্রতিবার ভোটের প্রোসেশনে
উন্নয়নের স্বপ্ন দেখায় বিশাল থেকে বিশালতর,
মানবিকতার কথা বলে,
বলে অগ্রগতির কথা
বলে শান্তির কথা।
যখন ভোট শেষে অবস্থান ‘বিপক্ষ দল’-
তখন প্রতিশ্রুতি ভুলে গড়ে তোলে ধ্বংসের দাবানল।
মুখোশের পেছনে লুকিয়ে থাকা হায়েনা বেরিয়ে আসে,
করাল মুখমণ্ডল হিংস্র দন্তে করে আগ্রাসী শব্দ-
জীবনের বিনাশ, অস্তিত্বের ধূলিসাৎ
আর... লাশের তাজা গন্ধে
তারা মিছিল চালায় সরকার পতনের।
কুসুম কোমল জীবনগুলোকে অর্থ লালসায়
করে তোলে উন্মত্ত কুকুর,
যারা দৃশ্যত জলাতঙ্ক ব্যধির বশবর্তী।
তাদের লোভ দেখিয়েই করিয়ে নেয় দু’ চারটে খুন!
তৈরি করে একপাল পোষা আ্যালসেশিয়ান-
তাদের রাজনৈতিক জীবন ও পদ রক্ষার্থে।
নর্দমার বিগড়ে যাওয়া কুকুরগুলোর লাশ
গুম হয়ে যায় পুরনো কোন বাড়ীর তলে।
নিখোঁজ! নিখোঁজ! নিখোঁজ!
বাইরে দেখায় মায়াকান্না-
তার ভেতরে পিসাচ অট্টহাসি।