কবিতা এক গোধূলিবেলায় আমার গলা জড়িয়ে বলেছিল-
‘তোমার প্রনয়াসক্ত হতে চাই আমি’
তার কোমল আহ্লাদী স্বর আমায় করে দেয় প্রেমভিরু।
উর্বী চক্ষু তখন অর্ধ উন্মীলিত,
নিদ্রাবিভোর সময় আমায় ঢেকে দেয় প্রশান্তির উপায়নে-
কবিতার চোখে দেখেছিলাম উদগ্র ভালোবাসা,
ভালোবাসার সুখ উন্মোচন তার আপন হাতে।
হৃদয়ে বুলিয়ে দিয়ে তার সুকোমল পরশ-
ভরে দিয়েছে সুখপ্রবাহে বিন্দু বিন্দু রক্তকণা।
কবিতা তার চাদরে জড়িয়ে আমায় দিয়েছিলো-
এক সাগর উষ্ণতার ঢেউ,
তাকে পাথেয় করেই
প্রেমের কাব্য মুড়িয়ে দিয়েছি-
উষ্ণতার মোড়কে।
কর্মপ্রবচনীয় তার আমায় করে কর্মানুবন্ধ,
কুথলী ছুঁড়ে ফেলে দূরে ঠোঁটে হাত বুলিয়ে বলে-
‘আমি চাই সাহিত্যে তোমার অভিক্ষাব্রত’।
কার্ষ্ণ্য অধ্যায়গুলো আমার শুভ্রতর করে দিলো,
স্বপৌরুষে সগৌরবে !
আমি প্রেষণী ভিক্ষা করেছি প্রিয়ঙ্গু প্রসাদ,
আমি হয়েছি বারংবার তার প্রীণন প্রীত।
সদাই করেছি তার জন্যে-
সদভিপ্রায় তদানীন্তন সদানুস্থানে,
সত্তার সত্ত্ব সত্যি সদয়!
সম্প্রভাত সমুন্নত ছিল আমার ভালোবাসা,
কবিতাকেই করেছিলাম আমি প্রণয়ালিঙ্গনে সম্বরু।