সন্ধ্যের পুণ্য লগ্নেই জ্বলে উঠেছে রোশনাই গুলো,
প্রদীপগুলো একে একে পুজোর ঘরে ছড়াচ্ছে আলো।
আলপনা আবীর সুসজ্জিত-
বাইরে আজ তমসা চাদর জড়িয়ে আছে ধরা,
তাই হয়তো বসুধার বুকে আলোর এত স্ফুলিঙ্গ!
আজ মা দয়াময়ী কালো রূপেই আঁধার হারিণী,
হৃদয় ভরা কালিমা আর অহংকারের কালি
সেই কালো শুষেই সে যে কালিকা দেবী।
নিজের যত, পাপ, তাপ, জ্বালা, অহং বহ্নি-
ডালায় ভরে করেছি পূজার উপচার,
নিজেকে ধূপের মতো জ্বালিয়ে দিয়েছি শ্রীচরণে।
ব্রহ্মময়ী তুই মা ব্রহ্মরূপিণী-
দগ্ধ সন্তান মা তোর
অশিব অদেব অসুন্দরে মণ্ডিত সে যে কাল জটরে।
কালে গিলেছে মা আমায় কালযমে-
অন্ধ আমি ছুটছি আরও আঁধারের পথে,
টেনে তোল মা ভবের ভেলায়।
বাইরে আলো এত মা!
হৃদয়ে যে আঁধার ভুবন।
সে আঁধারেই গড়েছি বেদী তোর,
সর্বহারারে এবার উদ্ধার কর দিগম্বরী।