জীবনের রণক্ষেত্রে অস্ত্রবিদ্যা শিখেছিলাম তোমার কাছেই-
তোমার অস্ত্র শৈলীর নিপুণতা জয়ধ্বনি
আজও দিকে দিগন্তরে সুপ্রসারিত।
তুমি ক্ষত্রিয় অস্ত্রগুরু-
আমি ব্যাধ পুত্র,
রণকৌশল শিক্ষায় প্রবল আগ্রহী-
হয়েছি বিতাড়িত তোমারই আশ্রম থেকে।
তারপর,
নিজ আত্মিক শপথে গ্রহন করেছি শিষ্যত্ব তোমার।
অস্ত্রবিদ্যা, ধনুর্বিদ্যা, সাথে বাহুবল বিদ্যাও করেছি রপ্ত-
তোমার ভাস্কর্যের সম্মুখেই।
সম্পর্ক, বন্ধন, মনুষ্যত্ব, বিশ্বাস, আস্থা-
পরিশেষে ধর্মচর্চা,
সর্ব পাঠে অনুপ্রাণিত হয়েছি তোমায় দেখেই।
শিক্ষা পূর্বক অভিষেক আবশ্যক শুনেছিলাম,
শুনেছিলাম গুরুগৃহে প্রবেশের নীতি-
তার একটিও পালন হয়নি কখনো।
অরণ্য গহিনে একাকী গুরু পূজন করেছি আমি,
নীরবে, নিভৃতে, লোকচক্ষুর আড়ালে।
প্রজ্ঞার ধ্যানে প্রাপ্ত বিদ্যা আমার;
আত্মবিশ্বাসে ভেবেছিলাম-
এ আমার অধিবাস।
কালান্তে এ হয়ে গেলো স্পর্ধা তোমার চোখে,
ক্ষত্রিয় শিষ্য অর্জুন হতেও আমি শ্রেষ্ঠতর তীরন্দাজ!
যদিও আজ এই আমার অপরাধ।
তবে গুরুদেব দ্রোণ,
তুমি আদেশ করেছ আমায়-
আমি একলব্য
তোমায় গুরুদক্ষিণা প্রদান করবো
দেবো তোমায় আমারি ছিন্ন বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ।