ওই  যে নিহার রঞ্জন দস্তিদার,
পরিচয়? সে এক বর্গা চাষী।
বয়েস.....! সে বলে পঁচিশ,
কিন্তু, অবয়ব বলে পঞ্চাশ।
উপার্যন ক্ষম একাই সে,
লোক মুখে শোনা যায়-
গরিব হলেও সবই ছিল তার।
কয়েক বিঘে জমি ,গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, লক্ষ্মী মন্ত স্ত্রী আর সোনার মেয়ে-
সুখের সাগরে যেন পাল তোলা তরী।
গেলো বছর,
মা গঙ্গা নিয়েছে তার সবই!
নদী গর্ভে চলে গেছে সমস্ত সুখ-
বাড়িতে মেয়ে ছিল অনাহারে রোগে মৃতপ্রায়।
স্ত্রী গত হয়েছে দু মাস আগেই,
এখন তার না জোটে গলা ভাত আর লাল শাক,
নুন আনতে যে পান্তা ফুরোবে-
সেই জো নেই।
এ বাড়ী ও বাড়ী করে হয়তো পায় ফেন!
ছোট্ট একসরা ফেনে না পেট ভরে তার না মেয়ের।
নিতাই বৈদ্য বলেছে-
রূপাকে বাঁচাতে ভালো মন্দ খাবার চাই,
চাই পথ্য।
কোথায় পাবে নিহার এতো টাকা?
কি করে কিনবে সে পথ্য?
শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলো-
আদুরে মেয়ে কে রোগ মুক্তি দেবে সে।
তারপর,
রাতের আঁধারে মেয়ের গলায় বসিয়ে দিল কাস্তের এক টান.........!
আঠাশ মাসের ছোটো দেহ কাঁপতে কাঁপতে হয়ে গেছে নিথর।
আজ নিহারের ফাঁসি,
অপরাধ- কন্যার রোগ মুক্তি।