আমি সেই দিন দখিনা জানালায় চোখ রেখেছিলাম-
কুয়াশায় জানালা ভিজেছে,
ভিজেছে আমার চোখ!
খালি ঘর, একা আমি
ঘোলাটে চোখে তাকিয়ে দেখেছি হিমের গুড়ি গুড়ি বর্ষণ!
সাথে উষ্ণতার হাহাকার!
চাদরে শরীর জড়িয়ে আকাশের নিবিড় তমসায় মন রেখে বার বার চেয়েছি নিরাশায় ভেসে যেতে।
তখনি, তোমায় স্নিগ্ধ হাসির ঝলক থামিয়ে দিয়েছে থেকে থেকে,
ঠোঁটের কোনে হাসি ছিল শূন্যতার!
ছবির পরে রেখেছি নিষ্পলক দৃষ্টি,
তোমার লেখার খাতায় বুলিয়েছি হাত-
কখনো চোখের জলে চুপ্‌সে গেছে কালি।
রাতগুলো কাটে আজো নির্ঘুম!
নিশ্চুপ! স্পর্শহীন!
তোমার পৌরুষদীপ্ত বুকে আছড়ে পড়ে-
আবেগ, আপ্লুত হতাম বারবার।
হয়তো বা প্রণয়ে প্রণয় ভিরু!
কাঁপত ঠোঁট!
দুরু দুরু বুক!
আজো মনে হয়-
এক্ষুণি তুমি এসে সরাবে ঘাড়ের চুল!
বুলিয়ে যাবে নিবিড় পরশ ধীর শিহরণে।
নয় তো, আমার কোলে এলিয়ে পড়ে
লিখবে কোন মোলায়েম কাব্য!
রাত আমার দুর্বিষহ!
বিছানায় শুলেই মনে হয়,
তুমি এক্ষুণি বলবে-
বিলি কাটো মাথায়,
লিখব একটি কবিতা তোমার জন্য।


[উৎসর্গ- আমার ভালোবাসা কে।]