আজকাল ,
স্বাধীনতাকে স্বাধীন বলতে বড় ভয় হয় -
’৭১ থেকে ’১৩ হয়েছে
শুধুমাত্র নামকরণ !
আর... তথাকথিত দেশ জয়।
দেশের আর্ত মানবতা
হারিয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার স্রোতে ;
ঘোলাটে থেকে কালচে সে
বিশালাকার দেহ !
মনে সঞ্চারিত হয় ভীতি!
অনিশ্চয়তায়, দু’চোখে নামে নিদ্রা –
রাতের তমসায় নৈরাশের গীতিকাব্য।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রাজনৈতিক পাশা
বাদ বাকি? সে... অনবগতই থাক !


কালো রং, কোথাও ধূপছায়া নেই
না আছে কথার শ্রাবণ।
শুধু শব্দের সশব্দ উদগিরণ
আর তীব্র যন্ত্রণার জ্বালাময় মিছিল ।
আরও আছে রক্ত আর লোহিত লহু পাথার !
ছড়িয়ে বিচ্ছিন্ন বিগলিত লাশ !
কোথাও বা দগ্ধ !
রেলপথে দাবানল –
মায়ের সাথে ভস্ম হয়ে গেছে
আঁটশে ভ্রূণ শিশু !
সে দেখেনি ‘‘ সুখ ’’ নামক কপোত –
বলেনি ‘‘ মা ’’ একবারও!
প্রতিশ্রুতি বর্শা হয়ে বুকে বিঁধে আছে –
সুদূর ’৫২ হতে !
শহীদেরা যে পথের চরণে
এঁকেছিল পবিত্র রক্তের আলপনা –
কল্প স্বাধীনতার জন্যে রক্ত ঝরিয়ে
তাঁদের স্বপ্ন ছিল
‘‘ অসাম্প্রদায়িক গনতন্ত্র ’’ !


আর আজ?
কোথায় গনতন্ত্র?
কোথায় দেশপ্রেম?
চোখ বুজে, চোখ মেলে –
এ’ শুধুই মোড়কে ঢাকা ‘‘ স্বৈরতন্ত্র ’’ ।
আমি রাত কাটিয়েছি শহীদের সমাধির পাশে
যারা বুজেছিল চোখ স্বাধীনতার আলো নিয়ে ।
কিন্তু, দেখেছি তাঁদের অতৃপ্ত আত্মার হাহাকার !
সকরুণ আর্তনাদ !


দিন দিন
প্রতিদিন
পল পল
প্রতি পল
প্রতিক্ষণ...
আমার নির্ঘুম চোখ !
স্বত্বা বলে-
‘‘ দ্যাখো, সমাধিস্ত স্বাধীনতার আজকাল ’’।