আমি জাত চাটুকার কবি, মিথ্যে স্বভাবী
পাড়ার সংঘে চাঁদা দিয়ে, পাকা খাতায় নাম তুলি হেসে
সত্য গুণীজন পোড়ে তারি মন
কেবল অপ্রকাশ যন্ত্রণায় নিজেরে দোষে, মিথ্যার উপহাসে।


কাঠের পুতুল আমি, তোমার বন্দনা করি
দাও হে এক অঞ্জলি ফুল, স্বর্ণ খচিত মহামানবের আসন
নেই লেখায়, মুখে হাকাই মধু কাব্য রস
নেই কোথাও বিবেকে আঘাত করে লেখা? পিত্তি জ্বালানো ভাষণ।  


দল মতের আদর্শ বুঝে দিচ্ছি খাতায় ঘা
নিজেরে নিজে দিয়েছি অভিশাপ, কেন ছড়েনি ফুলের সৌরভ
স্বার্থের জেরে অন্তর চেতনা গেছে মরে
কোথায় বিদ্রোহ প্রেম? মাথা তুলে উচু হয়ে বাঁচার গৌরব?  


কলম তার বৃত্তে বন্দী জিভে তার মরা
জুত সই তাল পাখার বাতাস কই? পোশাকে দুরস্ত কেতা
নির্যাতিত দুখি মানবের আলো নই
ক্ষুদ্র ভ্রান্ত চাটুকার দলের আমি, মস্ত বড় নেতা।    


ছিমছাম বিধি বাম, গাই শুধু গুণগান বুলি
টাল মাটাল ধূর্ত শিয়ালের কাছে বাঁধা আছে নত শীর সঁপে
নাম কামাই, দামি উপহারে ভরে ভিক্ষুকের ঝুলি
ভাবায় কাঁচা আনাড়ি, পথের কাণ্ডারির কলম ওঠে কেঁপে।  


পাণ্ডুলিপি দরদ মাখা মিথ্যে দিয়ে ভরা
যুগের সৈনিক পাথর বণিক তোমার কাছে করি না এ আশা
সমালোচনা না সহে, হিংসা গায়ে দহে
গৃহ কোনে বসে, ছন্দের জাদু কষে দেখাও মুক্তির দিশা?  


ভাবুক আছে মিথ্যা তাড়ানোর চাবুক আজি নেই
এসেছ কি কুড়াতে যশ খ্যাতি? আজ মুখ প্রচারের হোক অবসান
পথের আগুন ফাগুন হয়ে ফুটুক
এসেছ যবে শোনাতে গান, কিসের ডর কিসের মান অপমান!