বেদুঈন বসতি বেনাম শহর সাধনায় লভিছে যুব
মল্লিকারে ডাকিছে সিন্ধুতল ব্যাপ্তি ছড়ায়ে ডুব
নয়ন যুগল শাবক বিন্যাসি সমরে ভিড়িবার আকর্ষণ
তারি তরে পেয়েছি গো যুক্তি মুক্তির দর্শন।

চন্দ্র কুসুম খোঁপায় বেঁধে ঘুমায় পর্বত মজ্জায়
মিলন উল্লাসে নাচিব বালির আলোক সজ্জায়
কণ্ঠে ফোটা খই ফোটা নির্ঝর শীতল ঝর্ণা
মাধুবি সংগীতে চলনের ভঙ্গিতে সুখের রং স্বর্ণা।


বদনে বিলায়ে শোভা লাজে উদার তিল
প্রার্থনায় ঝরঝর আকুলতায় সরোবর প্রশান্তির নীল
কোঁচ বাঁধা শাড়ি তার, নিরালে ঐশ্বর্যে অহংকার
পাপিয়ার নম্র স্বর গলায় পাথরের হার।


আঙ্গুল ছোঁয়া ক্ষুরের ধার মোহিত ধনুকের টঙ্কার
সুনিপুন মায়াবী সে, তারে বাঁধা রংধনুর ঝংকার
পিতল পিয়ালে আপন খেয়ালে রক্ত ঠোঁটে কুলি
আড়মরে ভেঙে উঠলে রবি, নিংড়ায় সকল ধূলি।


তটে জাগা লতা বন যেন চুলের বেণী
কলকলে বয়ে চলা তরঙ্গমালা সাগরের কাছে ঋণী
কিরণ মালায় গলার ডালায় উদ্ভাসিত মরুর সবিতা
নিঝুম রাতে চলার পথে ডাকে লক্ষ কবিতা।