সিন্ধু পাড়ের বন্ধু আমার, নায়ের পাল উড়ায়
শিশির হিমে ঝিমেঝিমে, থাকে পাহাড় চূড়ায়
চরণ ধোয়া সিঁড়ির পরে, বনে ঘূর্ণি উড়ায়
হলুদ বউয়ের সব কবিতা, নয়ন মেলে জুড়ায়।


যখন লিখি আমারও ঘর, উঁকে যায় দর্শে
নীল পরীর ডানায় মেলে, বর যে আমায় বর্ষে
আদর পেয়ে মজিল মন, বীর বাউলে সেজে
গহীন রাতে গানের খাতায়, উঠল সে সুর বেজে।


বাঁশের পাতায় বাজে বাঁশি, সুরে সুরে মুগ্ধ
নাইওরি ভিজল গো আজ, রৌদ্র স্নানে শুদ্ধ
বর্ণ চোরা নানা রঙে, তার চলাচল বিশ্বময়
কাল ভ্রমরা ফুলের সঙে, তারি ছায়া মন্ত্রময়।


বিরানভুমে রুমে ঝুমে, নাচেরে মনকুলায়
বিরাম ভরা শেষ বিকেলে, মরছিয়া ঢেউ দুলায়
সে গোপন ভাষা বোঝে, তাই পালক ছেয়ে বসে
নীল গগণে প্রিয়ার খোজে, ছিন্ন করে ত্রাসে।


উদাস মনে দেখি সরব, কে দেবেরে দোল
সবুজ কানন দিঘীর পাড়ে, বন্ধু আঁখি খোল
মনের কথা তারি কাছে, সে দেয় খবর পুছে
চিঠি পেয়ে মলিন বদন, শীতল ছোঁয়ায় মোছে।