চারিদিক তৃষ্ণায় হাহাকার, তবু চোখে নাই জল
তরুণ যৌবনের রসাঙ্গ ঢল, হাসে কল কল
ভীরু সংশয় পায়ে চোটে ওঠা কাদা
কেউ বলে, ভাঙ্গবি কেমনে চৈত্র খরার বাঁধা?    
ওহে প্রভু কর মোদের অকাল ঝর্নার মুখরিত পানি
তুমি বন্ধু মোদের বন্ধ কর ওদের কানাকানি।


ধরণী বক্ষের নিগুঢ় তত্ত্ব করি ভেদ
শোষণ নামের দম্ভ লড়াই করি ছেদ
রাজ জবানবন্দির প্রাণ ভরা উদার ভক্তি
কেউ বলে, কোথাই সে সৌখিন প্রভাতের দীপ্তি?
ওহে প্রভু, কবুল কর মোদের আকুল প্রার্থনা
মোদের হয়ে রাখ শুনে তিরস্কার যাতনা।


জবানে থাকে যেন, সদা ন্যায় সত্য কথা
ভণ্ড যেন পায় মোদের হুংকারে ত্রস্ত ব্যাথা
সুশাসন বুকে এঁকে, করি কর্কশ ধ্বনি
সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ মোরা ব্যাকুল হয়ে মানি
কেউ বলে, অহেতুক উৎপাত থামায় কলঙ্ক খুনি
ওহে প্রভু, দুই মেরু মোদের নিয়ে করে টানাটানি।


সবুজ মাঠে সোনা ফলে, আনি তুলে ঘরে
দীক্ষা দেই বৈশাখে দুই চোল ভরে
ঝড় করি শান্ত নিপাত, শুনিয়ে মহত্ত্বের বাণী
কেউ বলে, মাতাল ছেলের লোক দেখানো পাগলামি?
প্রভু এতো শুধু তোমারি দয়া
জয় করি ভয়, পেয়ে তোমারি ছায়া।


অধ নিঃশ্বাসে বাঁচি তুফানে, কত আর্তনাদ বুকে নেই টেনে
করুণার ক্ষয় বিজলী রাতের পায়
কেউ বলে মানুষ রুপি রতন পুড়ে হবি ছাই?
ওহে প্রভু করি তোমার বন্দনা
দেখাও তা, ওরা করে নাই যা কল্পনা।


তীর ভাঙ্গা তুমুল বর্ষার স্রোতে
অবলম্বন লতাপাতা, বুকে রাখি এটে
অথৈ জলে ভেসে, পূর্ণ জীবন স্বাদ
কেউ বলে, ভরদেহে মৃত্যুর আহ্লাদ?
প্রভু, দুঃখীদের অস্পষ্ট কণ্ঠ করি আপন
নিখোঁজ মৃত তুলে মোরাই করি দাফন
অতল সমুদ্র জানা থাকবে কেন বাঁকি
কালো কাপড় বেঁধে মাথায়, আঁধার কূপে ঝুকি
অদেখা ভাবনায় ডেকে মরে স্বপ্ন পাখি
কেউ বলে রক্ত দানে বৃথা আশার উঁকি?


বল, কে তার জীবনের মর্মবাণী ভুলে
কে গাঁথল ঝিনুক মালা, কে আনে তুলে?
কে করল, তুষার পাতের চূড়ায় আরোহণ
নিশ্চিত কাল মৃত্যুকে কে করে বরণ?
কেউ বলে, এ আর কি করব স্মরণ?
এতো জাতীর ধ্বংস আয়োজন, আলো করে গ্রাস
এতো ওদেরি সর্বনাশ
শোন বলে রাখি, ক্ষণিক শান্তির উপহার
উন্মাদনা ভবিষ্যতের ত্রাস।


অভিযাত্রিক বলে প্রভু করেছ মোদের গণ্য
যে যাই বলুক, আজকে মোরা ধন্য
জলে, স্থলে পড়েছে যৌবনের ছাপ
মুছে যাক নিন্দুকের নিন্দার পাপ
যৌবন জাগুক তরুণ প্রাণে, গড়ুক অনন্ত অক্ষয় কীর্তি
জীবন নায়ের হালে, রক্ত মাখানো পাল হোক যৌবনের সৃষ্টি
যৌবন জাগুক তরুণ প্রাণে, গড়ুক অনন্ত অক্ষয় কীর্তি।