বৃক্ষ তুমি নদী থেকে কি আশা কর?
জল শুষে হয়েছতো বড়
পুষ্ট হয়েছ, সূর্য থেকে আলো আনি
ঢেউ তোমায় ডাকিছে জলে
তীর ভেঙ্গে এক কানি।


রংধনুর সাত রং তরুণ দেহে জড়িয়ে
পরগাছা গায়ে ভরিয়ে
হয়ত কিছু ছাড়িয়ে, উঠেছ বেড়ে
নবযৌবনা শাখাগুলি চারিদিকে ছেড়ে
দুরুদুরু শিহরণ মনে জাগে ভয়
যদি কালের স্রোতে কভু মূল ক্ষয় হয়
যদি তল থেকে ধ্বসে যায় মাটি
হারাবে যৌবন, স্রোতে পরিপাটী।


মেঘের গর্জন চারিদিকে বহে
সাধুবাদে কেবা তারে সহে
তারি মাঝে, ঘুঙ্গুর বাজে সভ্যতার মহা রাণী
নিদ্রা ভারে হারিয়ে যাবে শখের মঞ্জু মণি
ভালোবেসে বসন্তে কোকিল করে গুণগান
এ ভরা ঢেউয়ে কি তার, হবে অবসান?


ললনার রঙ্গ ভরা দেহ, ওলী উড়ে, বসে ফুলে
ভ্রমনে কমল চলে, পেয়ে এ দারুন মোহ
দোয়েল নিল গলা ভিজে, শরত এল সেজেগুজে
কাশফুল দিয়ে গেছে বর, হেমন্তে জাগে কি অপরূপ চর।


পথিক জুড়ায়েছে প্রাণ
চৈত্র কালে খানিক অভিমান
বৃক্ষ মূলে স্নান কালে, বধূ বিছায় রঙ্গিন পা
উৎসর্গ একটি ফুল,ধন্য তোমার বংশকুল
ভেসে গেল যাহ!!!
ঝামা ঘষে দল বেঁধে গল্প আয়োজন
কলসি ভরে আঁচল বেঁধে, বাজিয়ে কাঁকন।


বাঁকল পরে ভর দুপুরে, বাজে সাধের খঞ্জন
বাউলের সনে একাকী নির্বাক আলাপন
দুঃখ ভরা বুকের বেদন, বয়ে গেল পুবাল বাতাস
উড়ে নিল হাহুতাশ, তারপরেতেই ফিরল চেতন।


রাখাল তোলে বাঁশির সুর, সুর চলে অচিনপুর
কিবা তা আনে খুজে, ভাবে বসে চোখ বুজে
পেঁচা নেয় কোটর ভাড়া, আম্যাবর্ষা রাতে
উদ্বাস্তু আজ দিশেহারা, উড়াল দিল প্রাতে।


খেয়ার তরী, রাখল জড়ি বেঁধে
যাওয়ার বেলা বিদায় নিল কেঁদে
মাঝি গায় সাঝ বেলা ভাটিয়ালি গান
আজিকে লাজে, রক্ত সাঁঝে ওঠে ব্যাথার উদ্দীপন।


সর্বনাশী বিধ্বংসী করছে প্রতিবাদ
খোশ মেজাজে তারি পায়ে, সঁপে অপবাদ  
তোমার দান তুমিই নিলে, তুমিই খেলা ভেঙ্গে দিলে
নিজেই নিজেরে কর অপমান
আওভানে সাড়া দিয়ে, বিলীন হব ওগো প্রিয়ে
তোমারে করে সম্মান।


চাতক চায় দূর পানে, মেঘ বলে কানে কানে
পূর্ব পুরুষের অস্তিত্বের কথা আছে কি স্মরন
মুছে কি যায়নি, বালুচরে আঁকা পদচরন?
খুলে নিয়ে হাতের বালা, শূন্য দিলে ব্যথার ডালা
ক্ষান্ত দেই পথ চলা, শেষ হয়ে এল বেলা
একলা, একলা, একলা
ওহে মধুবালা, আজ যে আমার হারিয়ে যাওয়ার পালা।