আগুন আগুন যুদ্ধ খেলা চারিদিক ধুঁয়ারকুণ্ডলী এই নিখিল নরক
কিসের স্বার্থে? নরক কেন? শান্তি কোথায় মিথ্যাবাদী ভন্দ প্রতারক?
আমি অনন্ত পিয়াসী বিপ্লবী যে যাই বলুক পরোয়া করি না কিছু
বলতে পার বিশ্ব আমায় ত্রাসি, উচু শির করি না কভু নিচু।
দেয়াল ঢেকেছে পিঠে রক্ত ভেজা বিজয়ী তলোয়ার ধর বন্ধু ধর
মাতম নেশায় তুমুল বেগে কচকচিয়ে তোল বন্ধু ঝড়
অগনিত লাশ ভারা বুকে বইতে হয় ছিরে মমতার বন্ধন
অনন্ত আঁখি ছেপে কেঁপে কেঁপে আসে বাঁধ ভাঙা ক্রন্দন।
শশী গ্রহ তাঁরা ফুটবে কি আলো নবীন দিনের সন্তান ছাড়া
ঘৃণ্য জীবে ভরবে কেবলি তৃষ্ণায় জর্জরিত এই অচল ধরা
মৃত্যুকে করেছি আলিঙ্গন বন্ধু কি আর দেখাবে ভয়
অস্থি মজ্জায় সজ্জায় সজ্জায় বিদ্রোহী অনল করেছি সঞ্চয়।


পথের ভুলে কূল হারায়ে খুজছি পথের আলো
ক্ষুব্ধ শিশু স্তব্দ হয়ে শব্দ করে বিদ্যুৎ হয়ে জ্বলো
ধ্বংস বেদী ভাঙতে হয় ভাঙতে তুমি পার
মরুভূমি পাহাড় নদী শত্রু মুক্ত কর
পাষাণ শাসক উঠছে মেতে বয়ে মিথ্যে ঝড়
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা তার ভেঙ্গেছে ঘর
মুসলিম তুমি খোদার প্রিয় হুঙ্কার দিয়ে জাগ
কেউ নয় প্রভু, তাকেই শুধু এক মনে ডাক।    
বিপ্লবী তরুণ  চল মানবতা মুক্তির মিছিলে আজি দুঃসময়ে করুণ সংঘাত
জাগো কীর্তিনাশা সত্যের চাষা দেখ চেয়ে রক্তাক্ত জবায় বিষাক্ত প্রাত
মান বাচাতে কেউ এলোনা মরা জীর্ণ পাতার মহল
শিয়াল শকুন হায়নার ছায়া বিশ্বে দেয় টহল।


সুরেলা সুরে গান শোনাতে আসিনি এসেছি প্রতিবাদের ভাঙ্গা কণ্ঠ নিয়ে
বজ্র হয়ে ধরায় এসেছি আলোকিত ভুবন মাঝে কালো আঁধার ছেয়ে
কারে কর আঘাত ঘাতক? সবি এক আকাশের তাঁরা
একি ছাদের নিচে বসবাস, তবে কেন বঞ্চনা স্বার্থের দেয়াল খাড়া?
মুক্তিকামী সত্যবাদী বল কার পথে কে বাঁধা
কারো গায়ে রঙ্গিন জামা কারো গায়ে কাঁদা।
আজি বিবর্ণ হলুদ সরষে খেতে ধবংসলীলায় মঞ্চে বিদায়ী ভাষণ শোন
দুরমাখা চেতনায় পাথর চিরে, লাশের কানে মুক্তির বার্তা জেন।


ওরে দেখরে চেয়ে কে সেজেছে বিয়ের সাজ, শুধু কান্নার মাতম দোলা
আজি নাইবা নেব প্রিয়ার মালা, বিষদাঁতের কামড়ে গায়ে ধরুক জ্বালা  
নিষ্পাপ শিশুর করুণ চাহনি আত্নচিৎকার করে, দিয়ে যায় বারতা  
কর্ণকুহরে আঘাত করে কলিজা কাঁপে ওরে আজি ভাঙ নীরবতা
তেজময় দীপ্ত আওয়াজে বিজয় নিশান পুতে শেষ হবে খেলা
ওরে না হলে ঝরবে ফুল, অমন করেই শেষ হবে বেলা
আগুন ঝরা বুলেট যেন ঝরে কলমের ছোঁয়ায়
মানবতার বিজয় হয় যেন সত্য প্রেমের দয়ায়।


মৃত্যু ক্ষুধা তুফান তোলে নির্বাক চাতকের চোখে অগ্নিজল
কুসুম দলে নাশ করে, বিশ্ব বুকে চিত্ত জ্বলে, ধবংস কোলাহল
কালো কাপড় চাই না বাঁধা, চাই না লোক দেখানো শোক
চোখের কোনে জল দেখে, নিয়তি অভিশাপ করে উপভোগ
যুদ্ধ দিয়ে যুদ্ধ শেষ মার খাওয়া জাতি নেবে প্রতিশোধ
মানলে মান গুমরে ওঠা আর্তনাদে জাগুক মানবতা বোধ
উদার ভর্তি চিতার দাবানল জ্বলছে বিপ্লবী তরুণ দেহে
অপরাজিতার আড়ষ্ট মনের ভরা কাঁপন বিশ্ব বুকে বহে
আত্ন গৌরবে বলিয়ান জাতি পড়ছে আজি নুয়ে
আজি উঠবো জেগে নতুন রূপে সকল পাপ ধুয়ে।