নিচু পাড়ায় উচু করে, করি মাথা নত
সুখের রংধনু ছড়ায় রেণু, ফোটে ফুল শত
হাঁসের দল ঠাণ্ডা মাথায় আণ্ডা পাড়ে অল্পখানিক দূরে
গণ্ডা খানেক মণ্ডা আন ডালাখানি ভরে
পরশ মাখা তুলে রাখা মধুর কণ্ঠের ডাক
ছিল ঘরে আঁচল ভরে দিয়ে দেয় শাক
মাটির কোলায় মাটির চুলায় পোড়ে হিংসা ধন
পাশে থাকে পাশেই রাখে যখন হয় প্রয়োজন।


নবাব পাড়ায় দোষ ঝেড়ে লোকে কিপ্টে কয়
চিমটি দিয়ে নুন তোলে গলায় আটকার ভয়
খাই না যত ভুঁড়ি তত থামবে বাহাদুরি
নিজের ঘর নিজেই বানায় চালায় ভাঙা হাতুড়ী
কাঁসার পাতিলে বাসা বাঁধে সব মাকড়সা মিলে
পুরান ছাতি নতুন ভেবে খায় ইঁদুরে গিলে
শর্ত দিয়ে গর্ত করে মর্তের সকল সাপ
উই ঢিবি ভরায় ঘর সবি নাকি লাভ
নব্য ফকির গব্য করে বসে লাল তলায়
গায়ের ছায়া পড়লে বাঁয়ে কান শুধু মলায়।


খই ফুটিয়ে, সুঁই ফুটিয়ে কেউ হাসায় কেউ জ্বালায়
আজব রীতির ভিন্ন স্মৃতি ওরে একজনই তো চালায়।