ওহে মহীয়সী নারী সংসারী
তমাল বনের প্রেয়সী রূপসী দৃঢ় মনা
যবে কোন এক ভোরে
করেছিলে দান সুখে মোড়া ফাগুনের কণা।


আজি তোমায় স্মরে উজাড় করে করেছি এ লেখা উৎসর্গ
গ্রহণ কর ফুল স্বর্গের ছায়ায় দাড়ায়ে করি তোমারি অর্ঘ্য
এক ফাগুনে ফুটেছিল ফুল আরেক ফাগুনে ঝরে
সেই ফাগুনের লাল শিমুল আমায় উদাস করে।


নিখিল মাঝে গোপন প্রণয়ে দিয়েছ আমায় সাহস প্রেরণা
চন্দন সুবাস ছড়ায়ে পায়ে মধুচন্দ্রিমায় সাজানোর কামনা
তাঁরার ফুল দেখেছ কভু? তেমনি শয়নে স্বপনে আমি ভাসি ডুবি
হৃদয় মঞ্জিলে পাপিয়ার সুরে বেঁধে রাখার মত নইত কোন ছবি।


চৈতি হাওয়ায় উদাস বেলা বেলির সুবাস যেমন করে ঝরে
হৃদয়খানি রাঙা ফাগুনের স্নিগ্ধ পূর্ণিমায় দিয়েছ তেমন ভরে
ভোরের আলোয় নয়নতারা ফুটলে ফুটুক বিবাগী মন ছুটলে ছুটুক
শুধু বিদায় বেলা লাজুক প্রিয়া এক অঞ্জলি প্রেম তোমার পায়ে লুটুক।  


হৃদয় গভীরে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলের ঘূর্ণিপাকে ভাসে বাসন্তী দর্পণ
বারে বারে দেখে তোমায় সাধ মেটে না চিরতরে করেছি আমায় অর্পণ
চির পিপাসা ভরা অন্তরে বিহঙ্গের ডানায় আঁকি জুই চামেলির ছায়া
ভুল বুঝনা স্বপ্ন চোরা পথে পড়ে আছে ঝড় তোলা একলা বাঁশির মায়া।


অনন্ত নীলা হলুদে রাঙ্গা ললনা, থাকুক তেমন সাজ যেমন চাহে অন্তর
অপরুপা আলোর শোভায় আলোকিত হোক রংধনু মাখা ভুবন প্রান্তর
চির ভাস্বর দীপ্ত শিখা দিয়েছি তোমায় আমার ক্ষুদ্র মনে ঠাই
অনামিকা নতুন দিনে নতুন করে সদা তোমায় যেন পাই।