দগ্ধ বৈশাখে তৃষ্ণা পেলে আগুন করি পান
সাধু সাবধান সাধু সাবধান
ধূধূ খরায় খরায় ফাটে নীল আসমান
সাধু সাবধান সাধু সাবধান
ভূত চাপা রাতে কান্না পেলে দাঁত চেপে হাসি
পাল ছেড়া ঝড়ের বুকে মুখে তুলে বাঁশি
ধ্বংস লেলিহান যুদ্ধ হবে যদি বিশ্ব বিবেক ঘুমায়
লক্ষ শিশু শহীদ হলেও রাখতে পারবে না কেউ দমায়।
  
মায়ের বুকে লাঙ্গল পুতে করেছি যা চাষ
মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে সেই মায়ের বুকে
রক্ত মাখা আঁচল ছিরে ধ্বংস এঁকে
পড়ে আছে জনম দুখিনী গর্ভধারিণীর লাশ
অগ্নেগিরির তীব্র অনল জ্বলছে আমার বুকে
মৃত্যু বান আসছে ধেয়ে ঘূর্ণি বায়ুর বেগে
শপথ নিয়েছি পাথরের মত পুড়ে বিশ্ব ছারখার
বিভীষিকার ক্ষুদ্র কণা একাত্তরের চেতনা করেছি ধার।

কর্তা তুমি উল্টাকে সোজা বল বাঁকা পথে যেয়ে
সত্যের দাস না হলে ওরে মারব তোকে ঘেয়ে
টগবগে শিরার মত হবে বজ্রপাত
দামাল ছেলে সামাল দিয়ে থামায় উৎপাত
বন্টন করি রক্ত কলিজা কণ্ঠ হলে রোধ
মৃত্যু নিয়ে মৃত্যু বিলায় জাগায় প্রতিশোধ
একটি ভ্রূণ নষ্ট হলে এই সবুজ বাংলায়
হায়না হতে সাধ জাগবে বিষমাখা নখের খামচায়।

গর্জে উঠি মুক্ত হাওয়ায় দিলে অন্যায় বাঁধ
অভ্যাস আমার ডুবিয়ে মারি রাখলে আলোর পরে হাত
ঘর নাই স্বজন নাই আমি মহাবিশ্বের ক্ষুদ্র বারুদ
তেজ দীপ্ত শিখায় পায়ে দলা মরুর মাঝে শুকনো মরুত
ক্ষ্যাপার ছটফটানি লোহার খাঁচায় বন্দী পাখি কামড়ায় ঠোঁটে
নতুন দিনের শোষণ মুক্ত নিখিলে মুক্তির দিশারী জল খায় চেটে
হারানো দিনের ঝাঁঝরা চুলের দাঁতে দাঁত চেপে বিপ্লবের বাণী
সাগরের মাঝে ঝড় চেপেছে হাড় কাঁপায় নয়ন আসমানি।

কালো গায়ে ছাপ পড়েছে বেদনাহত মানুষের দগ্ধ ছাপ
লাঠির ঘায়ে ভাঙি বিষ দাঁত কালকূট কালনাগিনী সাপ
যুগে যুগে উল্কার মত আসি আমি ত্রাসি পত্র বীণে
মহাকালের ঋণে ওরে অত্যাচারী আমায় রাখিস চিনে
লক্ষ শহীদের অন্তরে সাম্য নীতির মধুর কথায় আলোর লক্ষ্য
কার্পণ্য করেনি স্বপ্ন ওড়াতে সুবাস ছড়াতে রক্তে রঞ্জিত বক্ষ
ওহে মিথ্যাবাদী জ্ঞানপাপী তুই যে অভিশাপ
শুদ্ধ হয়ে পথ দেখা ধরার আগে তলোয়ারের খাপ।

নিদ্রাহীন হলে জুয়ান, মাতাল ঘরে ঘরে  
নয়ত তিয়াস মনে মরবি ভীষণ ক্ষুধার জ্বরে
অন্যায়গুলো কামড়ে মারে আমার পেটে ক্ষুধা
পাপ তাপ পুড়ছে পুড়ুক ছড়ুক প্রেমের সুধা।