রুপোলী প্রেমে আবীর মাখা, সে আমার নীলিমা
রক্তকরবী ইন্দ্রজালে বাঁধা, মায়াবী লাজুক প্রতিমা
কোমল পদ্ম আঁখির মাঝে, নিশির কালো বাসা
শান্ত কোমল দিঘীর পাড়ে, নীল তরী ভাসা।


পাপড়ি ঝরা ঘ্রানে ভরা, ফোটে তাঁরার ফুল
হৃদয় হরণ দস্যু হাসি, ভেঙে দিল ভুল
ভাবুক তীরে আছড়ে পড়া, পূজার দীপশিখা
পথের সন্ধানে যাই হেটে, শুধু ধুম্র মরীচিকা।


ঊর্মিমালা ঢেউ খেলে যায়, ভুরুর বাঁকে বসে
তীর ছোরা একটি পলক, মরি আমার দোষে
দেখতে তারে কত বারে, কত রাত্রি জাগি
ব্যাধির ব্যাথা যায়গো মুছে, উষ্ণ সুখের ভাগি।


বন্দী শিবিরে নন্দিনী আমার, গুনগুনে সে ডাকে
কাজল তিলে মিলে ঝিলে, কোন সে ছবি আঁকে?
সে কি জানে তার লাগি, করি নিত্য উল্কাপাত
চাইনা আমি চাঁদের আলো, ঘুমটা দিয়ে বাঁধ।


মোহিনী ডাকে স্বপ্ন ছায়, তৃপ্ত বুকে শ্বাস
পালক ছোঁয়া ঝলক বদন, আমার মনে বাস
মাতাল করে কোকিল ঠোঁটে, মেঘে করে ভর
ফুল কামিনী রক্ত ঠোঁটে, উঠাই তুমুল ঝড়।


মুক্তি পিয়াসী ডানা ভাসায়, আকাশ পানে চেয়ে
সুরে সুরে ব্যাকুল করে, কণ্ঠে গান গেয়ে
চকিত চাহনি জ্বালায় অগ্নি, পলকে আজি মুগ্ধ
যুদ্ধ হাঁকায় স্বপ্ন ডানা, সুপ্ত আঁচে শুদ্ধ।


ষোড়শীর মাধবীর শিশিরে ভিড়, টলমলে সবুজ পাতা
লিখে রাখে শতাব্দীর জমানো, স্মৃতিময় লক্ষ কথা
বিস্ময় ছুঁয়ে যায় মনে, রেখেছি নির্জনে স্বাক্ষর
ভোলে নাই প্রিয়া আমার, ক্ষুদ্র এক অক্ষর।


তরু লতায় সরু পাড়, যতনে কালো কেশ
দ্বীপ মালায় জাগে প্রাণ, নির্জনে খেলে শেষ
গন্ধ বিলাসী তন্দ্রা মুখী, ঢেউ ছড়ানো দুল
তারি কেশে ভালোবেসে, পাইনি শখের কূল।


ভারি তারি বর্ণ ধ্বনি, বিশ্ব মাঝে বাঁধা
বিভোর হওয়া শরত প্রাতে, শুকায় সকল ধাঁধাঁ
জানি না নক্ষত্র কিনা, হঠাৎ কেন জাগে
মৃদু হাওয়ায় হেলে দুলে, দূর হতে ডাকে।


গন্ধে ভরে ওঠে নিশি, খুলে রাখি দ্বার
শিশির ঝরা বিটপী শাঁখায় সখি তুমি কার?
টোল পড়া নরম গালে, শরম ওঠে নেচে
শালে মোড়া মৃত নগর, ওঠেরে ওঠে বেঁচে।


রুপ হারা ধ্বংস খেলায়, মৃত এক প্রাসাদ
কমলা রঙে ওঠে জ্বলে, বন্দীশালায় বিষাদ
লাল গালিচায় রৌদ্র স্নান, আয়নায় দেখে হাসো
ফাগুন এলে কর মান, তুমি কারে ভালোবাসো?


ঘাম তোমার তরল মুক্তা, শত রূপের সুখ
ঝর্ণা পাড়ে দাড়িয়ে থাকি, ভরে যদি বুক
সিন্ধু পাড়ে বিন্দু কণা, হঠাৎ হল দেখা
ঝিলমিলে উঠল জেগে, পুবে ঝিলিক রেখা।


নিবিড় বনের আলো ছায়, ডিঙাই খাড়া পাহাড়
যমের বাড়ি দেইযে পাড়ি, দেখে মৃত্যুর বাহার
সতী নারীর প্রীতির নেশায়, ভরা জত্যির আলো
দন্ত দিলে কপাট খুলে, ওড়ে কোমল তুলো।


মণির দেয়ালে কারু কাজ, সিঁড়ির পরে কিরণ
নূপুর পড়া ছন্দ পায়, পথে পথে হিরণ
জোনাক জ্বলা ক্ষণিক তালে, উদাস হল মন
মুগ্ধ মনে দেখি তারে, বিয়ের আয়োজন।


কল্প লোকের গল্প কথা, ঠিক যেন সে পরী
রূপের ভাঁজে ঢেউ খেলে, মরব আমি জড়ি
যুবা প্রবীণ অবাক হয়ে, চোখ করে ক্ষয়
সুখ পাখি আমার হবে, করব করবোই জয়।