দেখেছি হে তরুণ আলতা বরুণ শিমুল ফুলের রঙে
শুনেছি তার বর্ষার হুংকার বাঁধ দুখানা ভেঙে
ঝড়ের দিনে ঘূর্ণি স্রোতে শাল কাঠের নায়ের বোটে
অলস বেলা মাছ শিকারি ডানা মেলা পাখির ঠোঁটে
বহেরা পাতা ছড়ায় কথা তুমুল হাওয়ায় কেঁপে
সবি সবার তরে লক্ষে অবিচল নিজেরে সঁপে
তারুণ্য বাঁধা মাটির কলস বৈশাখ এলে আঁকি
অলংকার বাঁধা কোকিলের সুর ফাগুন এলে ডাকি
পিতল থালায় রসের খেলা ঘোর কুয়াশায় মাতি
স্নেহ ভরা নিবিড় পরশ স্নিগ্ধ কোমল রাতি।


তরুণ রয়েছে হাজার হাজার তারুণ্য রয়েছে ঝিমে
কি হল আজ স্বার্থ নিয়ে হচ্ছে লড়াই সত্য রয়েছে দমে
কাকে বল শত্রু তরুণ কাকে বল ভাই
ঘরের মানুষ হয়েও আজ হয়েছি অসহায়
জাত কি তোমার অজাত খোঁজ মত্ত নেশার ঘোরে
তোমার দিদি ভাই মরবে কেন রোষানলের ঝড়ে?
তোমার তরে মৃত্যু এলে সব হয়ে যায় শেষ
আঘাত দিলে বারে বারে কিবা পেল দেশ
ফাগুন মাঝে আগুন জ্বলে তা জ্বলুক চিরকাল
দুর্দিনে তোমায় নতুন রূপে ডাকবে মহাকাল।


উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আলোয় থামুক সকল ঝড়
ফুলে ফুলে উঠুক সেজে বঙ্গ পল্লীর সংসার
স্বার্থবাদী বিভেদ শেখায় রক্ত করে পান
তবু তার হয়ে কেন তরুণ গাও গুণগান
সত্যের দুয়ার ঘুচে মাথায় তুলে রাখ উচে
মিথ্যাকে ঘৃণা করে সিনা কর টান হে তরুণ সিনা কর টান  
মাথা রেখে মায়ের কোলে ভাঙ্গাও তার অভিমান।


বল অত্যাচারী ডুবুক নিপীড়িত মানবের চোখের জলে
ভেসে যাক খর কুটা প্রতিবাদের ঢেউয়ের তালে
কোমল হৃদয়ে না পড়ে যেন কালো অতৃপ্ত ছায়া
তোমার অন্তর টইটুম্বরে ভরে থাক মানবতার মায়া
বিশ্বাসী হও হৃদয় ভরাও নিয়ে খোদার উপহার
স্বর্গময় জেগে উঠুক পাড়া করে নরককে সংহার
ছবির মত বাঁধ হে প্রেম শীতল জল ঢেলে
শালিক পাখি উড়ে বেড়াও মুক্ত হাওয়ায় মেলে।


এমন তারুণ্য চাই না বঙ্গে যে বইবে না সত্যের ভার
যে মরে গেছে নাই প্রেম নাই বিদ্রোহ ক্ষুর ধার
সেই তরুণ তো দেশের বোঝা যে মিথ্যার গোলাম দাস
করি বিশ্বাস অনর্থক বঙ্গে আসা জীবিত কাঙাল লাশ
সোনার মাটি লেগেছে গায়ে সোনার ছেলে না হলে কি হবে আর
সজাগ থাক ভূমি দখলদার জন্ম ভিটে করবে যে ছারখার
হাসি মুখে যেন ভাসি বন্ধু সকল মিলে
চিল মুক্ত আকাশ হবে, বোয়াল মুক্ত বিলে।


তরুণ সত্য ধরে, চর্ম দিয়ে ঘর্ম বয়ে কর না আর বিভেদ
শান্তির স্বপনে বিভোর সবাই চোখ তো সকল সফেদ
রণ সাঁজে সাঁজতে হলে সাজব দু হাত মেলে
দল বেঁধে সবে ঐক্যের মিছিলে আগুন নেব গিলে
তারুণ্য প্রানের শৌখিন খেলা ভাঙা আর গড়া
তাইতো অমন অপরূপ হল শকুন মুক্ত ধরা।