ভণ্ড নেতা দম্ভ কিসের কম্ম করে খাড়া
শালের লাঠি রাখছি কাটি বেটা একটুখানি দাড়া
তাল দেখেছিস বেলের মত পড়বে থাপ থুপ
গ্যাঁড়া কলে ডলবো যখন থাকবি তখন চুপ।


শিলের পাটা পাথর যাতা যেমন করে পেষে
হারিয়ে যাবি ডলা খাবি নিজের স্বভাব দোষে
ভাবিস কেন দেশের মাথা তুই যে বেটা পথের ছাতা
ফুঁ দিলে উড়ে যাবি কেবল ঝরা পাতা।


চোখ রাঙ্গাসনে মরিচ আছে ধরবে যখন ঝাল
গাল দুখানা লাল হবে খুজবি তখন খাল
বেতের ছরি পড়লে পাছে করবি তখন হাঁ
ভদ্র নাহ হলে তুই দেশ ছেড়ে যা।


কাঠ ঠুকানি মনে রাখিস কিছু বলার আগে
মন দিয়ে ঘুণ ছাড়াবো ঠোঁট দিয়ে ঠুকে
বন্দী শালায় মরবি পচে ঘৃণা যদি জাগে
কৃষক মজুর ছাত্র চাঁড়াল কুড়াল যদি হাঁকে।


শাবল যদি চালায় ওরে শাবল যদি চালায়
কত নেতা দেখলাম এমন দেশ ছেড়ে পালায়
দেশ কি রাখছি ভাড়া নাকি বাপের ভিটা
তোমরা সবে শোল বোয়াল আমরা সবে চিটা।


নীতি তোরে কে শিখালো ওরে পাতি নেতা
গর্জন শুনে চিত হবি মাথায় পড়বে ঠাটা
ছাল উঠাবো গালি দিলে বাতিক হবে ব্যাথা
জ্বরের ভয়ে মরবি ঘরে ধুয়ে রাখিস কাঁথা।


শকুন ছায়া বাংলার ঘরে মারছে সকল পুড়ে
মুখের খাবার চুরি করে মিথ্যা দিয়ে মুড়ে
নখ ঝাঁকাসনে বড়াই করে হাতে দিয়ে তুড়ি
উল্টো হয়ে সালাম দিবি খাবি যখন গুড়ি।


ছ্যাঁচড়া নেতা পচা নেতা কত নেতার কথা
আসল নেতার আকাল দেখে মনে জাগে ব্যাথা
ভাবিস না মরছে সবাই তলে তলে চ্যাতা
হলুদ রঙ্গের খোলস খুলে জাগবে বাঙ্গাল জনতা।