নৃশংসতার শেষ কোথায়
বিপুল চন্দ্র রায়
সভ্য সমাজে আজ বাতাস ভারী, রক্তের গন্ধ ভাসে,
প্রতিটি নিশ্বাসে যেন আর্তনাদ মেশে।
সভ্যতার মুখোশে ঢাকা পাশবিকতার খেলা,
শান্তির পায়রা ওড়ে না, শুধু মৃত্যুর ভেলা।
মানুষের রূপ ধরে ঘুরে বেড়ায় পশু,
ওরা ক্ষমতার উল্লাসে করে পদদলিত প্রাণ।
ওরা সংখ্যায় কত জন?
এক, দুই, তিন জন, কিংবা দশ জন।
অথচ হায় রে মানুষ!
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছ তোমার ভাইয়ের মৃত্যু!
প্রতিহত করো, দেখো ওরা ভয়ে পালিয়ে যাবে,
তা না করে দেখছ! আর্তনাদ চাপা পড়ে নির্লজ্জ হাসিতে,
ন্যায়ের মূর্তিও যেন কাঁপে ভয়ে ত্রাসে।
শিশুর চোখে ভয়, মায়ের বুকে শোক,
বোনের চোখে ভাই হারানোর যন্ত্রণা,
স্ত্রীর চোখে স্বামী হারানোর বেদনা,
ভাইয়ের চোখে ভাই হারানোর কি যে কষ্ট!
এই সভ্য সমাজ কি দেখে না? নাকি ঘুমন্ত!
এখানে মানবতা লুন্ঠিত ধুলোয়,
সহানুভূতি যেন নির্বাসিত কোনো দূর অজানায়।
তবুও কি আশার প্রদীপ জ্বলে না কোথাও?
নাকি এই অন্ধকারই হবে শেষ আশ্রয়?
নৃশংসতার এই কালো ছায়া কাটুক,
সভ্য সমাজে মানুষ আবার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াক।