যা কিছু বলার ছিলো,
যে নিবিড় টানে বারবার অন্ধের মতন ছুটে চলা,
দিগ্বিদিক ভুলে শুধু তোমার সান্নিধ্যে-
বেঁচে থাকার প্রবল আকুতি।
প্রাণের আকুতি প্রীতি স্পর্শের আকুতি!
একটু ভালো করে বেঁচে থাকার আকুতি।
প্রয়োজনের বাইরে করুণাও জোটেনা আজকাল!
মানুষের ভাগ্যেও না, কুকুরের ভাগ্যেও না।
তবে কি মানুষের খোলসে, এই আমি,
শুধু এক জন্তুর বেড়ে চলা?
হয়তো তাই! নাহলে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে-
কেন সে আমার যত জ্বালা, যত দুঃখ বুঝে নিতে পারেনা?
কাল রাতে যখন জ্বর এলো মহা উৎসব করে,
আমি তখন অন্ধের মতো হাতড়ে ফিরেছি।
ঘুমের ঘোরে একনাগাড়ে প্রলাপ বকেছি।
ঘোরলাগা চোখে খুঁজেছি এদিক, ওদিক।
অবশেষে বুঝেছি, প্রয়োজনের বাইরে কোন মানুষ-
কেন কোন জন্তুর স্পর্শে যাবে?
বারবার ছন্দপতন, রক্তক্ষরণে আমার শরীর-
আজ যেন যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ট্রয় নগরীর ন্যায়।
আমার আর কিছু নাই, কিচ্ছু নাই!
আমি শুধু একটু শান্তিতে ঘুমোতে চাই,
অনির্দিষ্টকাল সময় নিয়ে ঘুমোতে চাই।
ঘুমের ঘোরে, প্রিয় শৈশবের দিন গুলিতে ফিরে যেতে চাই।
নীল আকাশ, শাদা মেঘ, কেটে যাওয়া ঘুড়ি আর-
পাখিদের ঝাঁক দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবো শেষ সীমানায়।
যেখানে যমদূত পরম মমতায়,
আমাকে চির অতল অন্ধকারে তলিয়ে নিতে,
মহা আয়োজনে ব্যস্ত! ভালো থেকো।


©সুব্রত ব্রহ্ম
ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩ইং
ধানমন্ডি, ঢাকা।