একটা সময় ছিলো,
যখন ঘুমের মাঝেও প্রেতিনীর ভীষণ কালো উপস্থিতি-
আমাকে বিচলিত আর উন্মাদ করে দিতো।
জীবনটাকে মনে হতো যেনো নরক যন্ত্রণার সামিল।
রোজ রোজ একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি-
আমাকে ক্লান্ত, অবসন্ন করে ফেলেছিলো।
ঘুমের দাবী ছেড়েই দিয়েছিলাম একটা সময়।
মেনে নিয়েছিলাম আমার অখন্ডনীয় ভবিতব্যকে।
সুরার পাত্র হয়ে উঠেছিলো অব্যর্থ টনিক।


তারপর…


একদিন হটাৎ বৃষ্টি এলো ঝড়ের বেগে।
নদীতে বান এলো।
প্লাবিত হলো খরাতে চির ধরে যাওয়া জমীন।
হৃদয়ে এলো শান্তি,
আর চোখ জুড়ে ঘুম।


নিয়তি…


আমাকে হারাতে পারেনি শেষ অবধি।
অনেক সময় পরে হলেও,
রূপকথার পরী এলো।
শক্ত হাতে বুকে জড়িয়ে আবদ্ধ করল আমায়।
দু'হাতে মুখটি তুলে গালে গাল ঘষল,
আর চোখের জল হলো ভাগাভাগি।
ঘুনে ধরা গাছের গুড়িতে জল ঢাললো পরম মমতায়।


এরপর…


নতুন জীবনের সূচনা হলো।
ক্রমশ নিভুনিভু হয়ে এলো রাবনের চিতা।
ঘুমোতে যাওয়ার সাহস টুকু ফিরিয়ে দিলো।
চোখে মুখে হাত বুলিয়ে,
ঘুম পারানির গান শুনালো।


সুব্রত ব্রহ্ম
ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০১৪
ঢাকা।