ধুন্ধুমার কাণ্ড কী সব
    স্বার্থসিদ্ধির জন্য,
হনহন করে ছুটছে যে সব
   মানুষ নয়, যেন বন্য।


মোহ মায়া ও লোভ লালসায়,
  আধিপত্যের রং তামাশায়,
         সবই যেন পন্য।


    নব জীবনের নব আশা,
    ধ্বংস করছে সর্বনাশা,
  নয়কো তবু তারা সমাজের
         পরাকাষ্ঠায় ঘৃণ্য।


       অন্তরের অন্তরালে,
    বাক্যজালের গ্যাঁড়াকলে,
      স্তিমিত যেন চৈতন্য।।


  নব প্রজন্মের কাণ্ডারি সব,
    আসবে একদিন ধেয়ে,
   মুছবে যে সব মুচলেকা,
বাঁধনহারা স্বাধীনতা পেয়ে।


  নব ভানু উঠবে ওইদিন,
  রাঙ্গা হাসিমাখা মুখে,
লক্ষ প্রত্যাশার দৃঢ় প্রত্যয়,
থাকবে তরুণ-তরুণীর বুকে।


ভাঙ্গবে প্রাচীর গড়তে নবীন,
   মিলিয়ে ঐক্যের সুর,
হাসবে কেবল অট্টহাসি,
  হয়ে রবে যারা প্রৌঢ়।


এই বলে, করিনি কেন?
     গড়িনি কেন?
ছিল না কী আহ্লাদ?
ছিল তারুণ্য, ছিল ত্যাজ,
     হয়তো ছিল না,
নতুনত্ব গড়ার স্বাদ।


হাতছানি সর্বদা দিয়ে তারুণ্য,
শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে ঘটাবে বিপ্লব,
জুটাবে বস্তির রেবেকার মুখেও অন্ন।


      হানাহানি বিদ্বেষ,
নিশ্চিত একদিন হবে শেষ,
মানবতার যথাযথ নিদর্শন,
বিশ্ববাসীর হবে যে দর্শন।