সবুজ সবুজ ছায়ায় ঘেরা
ছোট্ট একটা গ্রাম
পিচ ঢালা পথ পাশে রেখে
আমি,গাড়ি থেকে নাম্‌লাম।


শহুরে শহুরে পোষাক আষাক
লোকের নজর কাড়ে
ভীরু ভীরু চোখ কৌতুহলী
বাঁশের বেড়ার আড়ে,


পলিথিন ঘেরা চায়ের দোকান
কুকুর শুঁকছে ধুলো
আসেন বাবু বসেন এখানে
- বলছে বাচ্চা গুলো,


সামনেই চাপা কল
জলের লাইনে ভীড়
সবার শেষের মেয়েটি যেন
বড় বেশী অস্থির,


সস্তা চায়ের ধোঁয়া
আজকে লাগছে বেশ
বহুদিন পরে যেন মনে এল
একটু খুশির রেশ,


হালকা হাওয়ায় দুলছে দুরের
সারি সারি শালবন
গাছে গাছে কত ডাকছে, পাখী
উদাস লাগছে মন,


শেষের মেয়েটি এখন আগে
শেষ তার জল নেওয়াও
হঠাৎ কি মনে হতেই তাকে
ডাকলাম - ‘শুনে যাও’,


চায়ের দোকানে নানান লোক
নানা ভাবে তারা চাঁয়
কলসি কাঁখে মেয়েটি এল
ধীরে ধীরে ভীরু পায়,


‘কেন ডাকছেন?’ সলাজ নয়নে
ঠোঁট দুটি তার বলে,
‘চিনলে না তুমি ! আমি যে তোমার
বিষ্টু কাকার ছেলে’-


চম্‌কে উঠলো মেয়ে
ছল্কে পড়লো জল
চা ফেলে রেখে উঠে এল
সব গ্রাম্য লোকের দল,


নানা ভাবে তারা চায়
অতীত কে চিনে নিতে
বৃদ্ধ দোকানী মাথা নেড়ে
বলে- ‘ইটা রতন-ই বটে’,


শুরু হল শোরগোল
পড়ে গেল গাঁ’য় সাড়া
সলাজ মেয়েটি একাই শুধু
নির্বাক কথাহারা,


চোখ তার টলমল
ঠোঁট দুটি কথাহারা
সবুজ সবুজ ছাঁয়ায় আমার
সার্থক ঘরে ফেরা ।