জ্যোত্স্নার স্পর্শ মুছে ফেলা যায় না কোনোদিন কোনো ব্রাশে
আকাশে-বাতাসে-ঘাসে মিশে থাকে আর ভাসে আর হাসে
পাণ্ডুলিপির পাতায় পাতায় লেপ্টে থাকে রূপবতী কবিতার ঘ্রাণ
মান-অভিমান নিয়ে গভীর গভীরতর চোখ তার মুগ্ধতার প্রাণ
                                                             চিরদিন
নিশিদিন হৃদয়-বিন্যাসে কাছে আসে আর বাজে জ্যোত্স্নার বীণ
জলেভাসা চাঁদ জ্যোত্স্না-নিখাদ - ঢেলে দেয় সুখ, সমস্ত বুক।


সুখ-সঞ্চারী অরণ্যে একজনই বেঁচে থাকে বনলতা পৃথিবীতে
অন্য কোনো লতাপাতা  হাত বাড়িয়ে জড়ালেও জীবনানন্দে
মৃতসঞ্জীবনীর নিপুণ প্রেরণায় জেগে ওঠে আবার মহুয়ার মন
অন্তর স্নাত হয় রসিকের নন্দিনীর শব্দ-সঙ্গমের রসে
বশে থেকে যায় রসিক পাঠক ভেসে ভেসে রসে রসে।