আমার ভালোবাসার কোনো জন্ম হয় না -
আমিই প্রথম পুরুষ -আমার আগে আর কোনো প্রাণ আসেনি- তোমায় পাগলের মতো ভালবাসবার।
যাবে বলে যে পণ করেছে তাকে কেন আটকাও মন - যদি সে সত্যিই চলে যায় !
ঘোমটায় ঢাকা রঙিন কাপড়ে - মানুষের ভিতরের মানুষটাকে আজ চেনা বড় দায়।
তবুও তোমায় নিশিদিন ভালবেসে যাব যতদিন দেহে আছে প্রাণ।


মায়াবিনী-- বলোতো কোন মায়াবলে তুমি করেছ অধিকার?
কিসের নেশায় সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে ঝরেছ অবিরাম?
সস্তায় পাওয়া একটা বিকেল,শুধু নিঃসঙ্গতার বিদীর্ণ হিয়া -
তবু নোনা জলে চোখ থাকে অপেক্ষায় বারান্দায় গিয়া।
পড়ন্ত বেলায় ভেসে ওঠে তোমার স্তব্ধতা,
জানি, তুমি হয়তো হারিয়ে যাবে সভ‍্যতার অলিক স্বপ্নে---
হয়তো বা নিরুত্তাপে এক হাজার অমাবস্যা পেড়িয়ে...
আমি তখন এক আকাশ জুড়ে তারই শব্দ পেয়েছি কুড়িয়ে।
মখমল বাতাসে এত কথা- এত সুর- শুনি কান পেতে
নিবিড় আবেশে অনেক বর্ণমালা আর শব্দ জুড়ে জুড়ে।


সেদিনও কি তুমি তোমার তরল বাসনায় মদির হয়ে উঠবে?
তোমার নাটকীয় চাহনির থেকেও পরকীয়া মিথেনের মিথ প্রেম মিশে যাবে তিমির আঁধারে?
তবুও কেন আকাশে বাতাসে এত সুর- এত মেঘ-বৃষ্টি বুকে?
আমার মত কেউ বাসবে না ভাল, রাখবে না তো সুখে।


আমিই যে প্রথম পুরুষ - যে তোমায় করেছে ঋণী।
কিং-সুখ-কিং-ব'লে - এমন সম্বল নেই নিকটে।
যযাবে বলে যে পণ করেছে তাকে কেন আটকাও মন, যেতে দাও তারে।
সত‍্যি যদি সত্যি ভালোবাস - তবে একদিন আসবেই ফিরে তোমারই সন্নিকটে।
মেহগনি পাতার শিরা-উপশিরায় কংক্রিটের যৌবন হয় যদি রক্তাক্ত?
পোয়াতি হয় যদি তোমার ঐ মন?
দামামা বাজিয়ে হিসেব বুঝিয়ে দিও ঐ চৌকাঠে তবে।


আমি প্রণাম জানাই সেই প্রেমাগুনকে। - যে শুধু এতদিন পুড়িয়ে গেছে। দাবানলে দিয়েছে ঝলসিয়ে।
এটাই কী জীবন? - তুমি কি জীবন শেখাও প্রেম? - এতদিন তো পুড়িয়ে রিক্ত-জীর্ণ-শীর্ণ করেছ? - তবুও তো আমি শুদ্ধ হলাম না। - এত যে মেঘ-বৃষ্টি ভিজিয়ে দিল আমায় -  তবুও তো মন শান্ত হল না।
আমি আ-জীবন বেসে যাব ভালো। পৃথিবীর এমন কোনো শক্তি নেই- যেখানে আমি থেমে যাব। - থেমে যাবে আমার ভালবাসা।
আজ আমি বেঁচে থাকার জন্য রেখে যাচ্ছি---'"সনেট প্রেম "'----যার নেই কোনো বিড়ম্বনা---নেই কোনো ছলনা...।।