এগিয়ে চলেছেন সন্ন‍্যাসী, স্বপ্ন তাঁর অগাধ ।
নিরুদ্ধ সৃষ্টির বেদনা কুরে কুরে খাচ্ছে তাঁর অন্তরকে।
- সংসার না করেও এ যেন এক আজব সংসার।
দুঃখ লাঘব করতে ব্রত নিয়েছেন সবাকার।
তাঁর প্রতীজ্ঞা-সেই বিবেক বাণী--জেগে উঠে
নিন্মগোত্রের-অবহেলিত-নিপীড়িতদের জাগিয়ে তোলার চিন্তাধারাকে ফলপ্রসূ করবার।
তাই তো শুনি অস্ফুট আহ্বান-
" ওরে কে যাবি পারে আয় ছুটে আয়...."
-কেউ কি শোনে নি সেই বাণী ?
-কারও হৃদয় ছোঁয়ার মত ছিল না সেই ধ্বনি?
মরমী স্পর্শে গদগদ হতে কেউ কি নেই?
-আছে, অবশ্যই আছে, ছিল এবং থাকবেও ভবিষ্যতে ।


তৈরী হল বন‍্যাশ্রম।
তিনদিক বেষ্টিত শশ্মান।
তারই মাঝে খা খা ধূ-ধূ মাঠে-
ফুটে উঠেছিল -কদম বকুল আর ছোট্ট একটি কুটির ।
কখনও কদমতলা তো কখনও বকুলতলা ছিল আমার পাঠশালা। আমার হাতে খড়ি।
ধীরে ধীরে রূপ নিল বিশালাকার সেই কুটির।
- এওকি সম্ভব ? নিদেন পাড়াগাঁয়ে রাস্তাটি যেখানে নেই- সেখানে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ।


তারা অবাক- অভিভূত।
আশ্চর্য এও জেনে যে- সন্ন্যাসীর তৈরী আশ্রমের অগ্রগতিতে -
বাস্তবিকই যেটা কল্পনাকে বাস্তবায়নের পক্ষে যথেষ্ট কম সময়।।


(( কবিতাটি আমার পাঠশালাকে নিয়ে লেখা। বাস্তবায়ন করার চেষ্টা রাখলাম আমার ছোট্ট বেলার স্মৃতি হিসেবে। ))