শিশুকালের পুতুল খেলা ঘরে-বাইরে নারী অবলা
বাবা দিচ্ছে বিয়ের ঠেলা চড়তে হবে চর্তুদোলা।
মনে আমার কত আশা 'কন্যাশ্রী' মোর ভরসা
বাবা মা ছাপোষা কুঁড়ে ঘরে বেঁধেছি বাসা।
মায়ের হাতে ঝাটার মুড়ো পরের গুলো হচ্ছে বড়ো
বাপ যে তোর হচ্ছে বুড়ো টুটি ছাড় মা তাড়াহুড়ো।
আমি তো মা পড়তে চাই বাছবো আমি তোমার জামাই
"ঢঙ দেখে তোর মরে যাই" তোকে নজর দিচ্ছে সবাই।
ঠিক আছে মা তাই হবে কোনো মতে তো বিয়ে দেবে
আঁচল ঢেকে কাঁদবো যবে সত্যি তোমরা খুশি হবে?
বিনা তেলে কাঁঠাল ভাঙলে জানতে জামাই মাতাল বলে?
কন্যাদায়ে বেচে দিলে বালিশ ভেজে চোখের জলে।
ভবের হাটে বেচবো দেহ গোলাপ ফুলে কাঁটার স্নেহ
পরের ভিটে আমার গেহ ডাকছে ঘুঘু অহরহ।
ছিলাম মাগো মোটা ভাতে কাল কাটবে পরের হাতে
বাকী ছিলাম ডাগর হতে গর্ভবতী আঁধার রাতে।
বুকে ব্যাথা মুখ ফুটেনা ভগবান সত্যি কানা
কড়ায় গন্ডায় ষোলআনা সব 'ধারাপাত' শ্বাশুড়ির জানা।
বিদ্যাসাগর আমার ঠাকুর নারী এঁটো পাতের কুকুর
কলসী কাঁখে সামনে পুকুর ডুব দিলে কি হবে বাবুর!
বিশ্বায়নে বিশ্বরাণী স্বর্গে লক্ষ্মী নারায়ণী
সংসারে সহধর্মিণী শাঁখা সিন্দুরে আমি রমণী।
মাটির তালে প্রতিমা হয় সোনার দেহ মাটিতে ক্ষয়
স্বামীর নামে পরিচয় মন জোগাতে কত অভিনয়।
আছি ছিলাম থাকবো পাশে জায়া-ভগিনী-কন্যা বেশে
সিন্দুর খেলায় বংগদেশে মাতৃরূপে স্থিতি-লয়-বিনাশে।