ওপারের ডাক আসে মাঝি নাই খেয়াঘাটে
আকুলপাথারে যাত্রী দিগন্তরেখা দৃশ্যপটে।
খেলাঘর আজ যেন নুড়িমাত্র বিশ্বচরাচর
লবণকণা মাত্র 'আমি' বিভেদহীন আপন-পর।
উৎস-মোহনার সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় ঘূর্ণনে
দিনযাপন কালস্রোতে খড়কুটো অবলম্বনে।
শুভ্র তুষারকণা সূর্যতাপে গলেছিল ষোলআনা
শোষিত-শাণিত-পীড়িত হয়ে বেয়েছে জীর্ণ তরীখানা।
জনসমুদ্রে বাস করে হৃদয় সমুদ্রে ঝাঁপ
মণিমুক্তা নয় অভিলাষ কেবল একটু সূর্যতাপ।
তমসায় জ্যোতির টান প্রার্থনা অবিরাম
পিতা-মাতা-বন্ধু- সখা তিনি সর্বস্ব পরিণাম।
মোহ শুধু নাড়ির বাঁধন লাজ আর পিছুটান
শাঁখের করাত দশায় দোটানায় দেহ-মন-প্রাণ।
মানসিক দৈন্যতায় ভোগ লালসার সাথে সমঝোতা
সাঁতার শেখা শুরু হয় যখন লাথি মারেন কর্তা।
সংসার সমুদ্রকূলে জীবন চলে হেসে খেলে
হৃদিসিন্ধু অমৃতময় কেবল নিজ চরিত্রবলে।